শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পঞ্চম শ্রেণির বাংলা

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
  ১৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
পঞ্চম শ্রেণির বাংলা
পঞ্চম শ্রেণির বাংলা

প্রশ্ন : কার আল্পনা দেওয়া ভালো হয়েছিল? কেন?

উত্তর : কাঞ্চনমালার আল্পনা দেওয়া ভালো হয়েছিল।

1

কাঞ্চনমালা ও কাঁকনমালা দুজনেই উঠানে আল্পনা দিয়েছিল। নকল রানী কাঁকনমালা কেবল এখানে-ওখানে খাবলা খাবলা রং দিয়ে আল্পনা করে। তাতে ছিল না কোনো সৌন্দর্য। অন্যদিকে কাঞ্চনমালা পদ্মলতা, সোনার সাত কলস, ধানের ছড়া, ময়ূর-পুতুল ইত্যাদি নানা রকম চোখ জুড়ানো নকশা আঁকেন।

প্রশ্ন : অচেনা মানুষ যে ব্রতটার কথা বলে তার নাম কী? এই ব্রতের দিন রানীদের কী করতে হয়?

উত্তর : অচেনা মানুষ যে ব্রতটার কথা বলে তার নাম হলো পিটকুড়লির ব্রত। এই ব্রতের দিন রানীদের পিঠা বিলাতে হয়।

প্রশ্ন : রাজপুত্র তার বন্ধুর কাছে কী প্রতিজ্ঞা করেছিল?

উত্তর : রাজপুত্র তার বন্ধুর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিল, সে বড় হয়ে যখন রাজা হবে তখন রাখালবন্ধুকে তার মন্ত্রী বানাবে।

প্রশ্ন : রাজা কীভাবে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেন?

উত্তর : রাজা হলে রাখালবন্ধুকে তার মন্ত্রী বানাবেন- এই ছিল রাজার প্রতিজ্ঞা। কিন্তু রাজা হওয়ার পর অনেক সুখের মাঝে তিনি বন্ধুর কথা ভুলে যান। এভাবেই তিনি বন্ধুকে দেওয়া প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেন।

প্রশ্ন : কী কারণে রাজা দুর্দশায় পড়েন? শরীরে সুচ গেঁথে যাওয়ায় রাজার কী অবস্থা হলো?

উত্তর : প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের কারণে রাজা দুর্দশায় পড়েন। শরীরে সুচ গেঁথে যাওয়ায় রাজা চোখ মেলতে পারেন না, কথা বলতে পারেন না, শুতে পারেন না, খেতেও পারেন না। এককথায় রাজার কষ্টের সীমা থাকে না।

প্রশ্ন : পিটকুড়লির ব্রতের দিন রানীদের কী বিলানোর নিয়ম?

উত্তর : পিটকুড়লির ব্রতের দিন রানীদের পিঠা বিলানোর নিয়ম।

প্রশ্ন : কাঞ্চনমালা আল্পনায় কী আঁকেন?

উত্তর : কাঞ্চনমালা আল্পনায় আঁকেন পদ্মলতা। আর তার পাশে আঁকেন সোনার সাত কলস, ধানের ছড়া, ময়ূর, পুতুল।

প্রশ্ন : কাঁকনমালা অচেনা মানুষ আর কাঞ্চনমালার গর্দান নেওয়ার হুকুম দেয় কেন?

উত্তর : অচেনা লোকটির বুদ্ধিতে নকল রানী কাঁকনমালার কুকীর্তি সবার কাছে প্রকাশ হয়ে যায়। সবাই বুঝতে পারে কে আসল রানী, আর কে দাসী। কাঁকনমালা তাই রেগে গিয়ে অচেনা মানুষ আর কাঞ্চনলামার গর্দান নেওয়ার হুকুম দেয়।

বিদায় হজ

১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।

হিজরি, হজ, মহানবী, কাবা শরিফ, আরাফাত, ভাষণ, বান্দা, আমির, উপাসনা, ক্রীতদাস, যিলকাদ।

উত্তর :

হিজরি- যিশুখ্রিষ্টের জন্মের ৬২২ বছর পরে হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর মক্কা ছেড়ে মদিনায় গমনের দিন থেকে গণিত চান্দ্র অব্দ বা বছর।

হজ- হিজরি জিলহজ মাসের ৯ তারিখে নির্দিষ্ট স্থানে ইহরাম বেঁধে মক্কার অদূরবর্তী আরাফাত ময়দানে অবস্থান ও পরে কাবার তওয়াফ সংবলিত ইসলামি অনুষ্ঠান।

মহানবী- আলস্নাহর পয়গম্বর; রাসূল; প্রেরিত পুরুষদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ যিনি। শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে মহানবী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

কাবা শরিফ - সৌদি আরবের মক্কা শহরে অবস্থিত আলস্নাহর পবিত্র ঘর। আর্থিকভাবে সচ্ছল মুসলমানরা পবিত্র হজ পালন করতে সেখানে যান। হজ পালনের সময় এর চারদিকে ঘুরতে হয়।

আরাফাত- মক্কা থেকে প্রায় ১২ মাইল পূর্বে অবস্থিত প্রসিদ্ধ ময়দান।

ভাষণ- বক্তৃতা, বিবৃতি, উক্তি।

বান্দা- গোলাম, দাস, একান্ত বাধ্য।

আমির- সম্ভ্রান্ত ধনী মুসলমান, মুসলমান শাসকের উপাধি।

উপাসনা- এবাদত, আরাধনা, আলস্নাহর ধ্যান।

ক্রীতদাস- কেনা দাস, চাকর।

যিলকাদ- আরবি বছরের একটি মাসের নাম।

২. শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।

আরাফাত, ক্রীতদাস, কাবা, শরিফ, মহানবী, হিজরি, হজ।

ক. দশম ... হজের সময় এসে গেল।

খ. তাদের ইচ্ছা নবীজীর (সা.) সঙ্গে ... পালন করবেন।

গ. ...হজরত মুহাম্মদ (সা.) প্রথমেই আলস্নাহর প্রশংসা করলেন।

ঘ. যারা তাকে কখনো দেখেননি তারাও এই মহামানবকে একবার দেখার জন্য ... এলেন।

ঙ. ... ময়দান থেকে লাখো কণ্ঠে ধ্বনিত হলো, 'হঁ্যা, আপনি পেরেছেন।'

চ. কোনো ... যদি নিজের যোগ্যতায় আমির হয়, তবে তাকে মেনে চলবে।

উত্তর :

ক. দশম হিজরি হজের সময় এসে গেল।

খ. তাদের ইচ্ছা নবীজীর (সা.) সঙ্গে হজ পালন করবেন।

গ. মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) প্রথমেই আলস্নাহর প্রশংসা করলেন।

ঘ. যারা তাকে কখনো দেখেননি তারাও এই মহামানবকে একবার দেখার জন্য কাবা শরিফ এলেন।

ঙ. আরাফাত ময়দান থেকে লাখো কণ্ঠে ধ্বনিত হলো, 'হঁ্যা, আপনি পেরেছেন।'

চ. কোনো ক্রীতদাস যদি নিজের যোগ্যতায় আমির হয়, তবে তাকে মেনে চলবে।

৩. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।

প্রশ্ন : হিজরি কোন সালে বিদায় হজ অনুষ্ঠিত হয়?

উত্তর : হিজরি দশম সালে বিদায় হজ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রশ্ন : আরাফাত ময়দানে লাখো মানুষ দেখে নবীজীর (সা.) মনের অবস্থা কেমন হয়েছিল?

উত্তর : আরাফাত ময়দানে আরবের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান প্রিয় নবী (সা.)-কে শেষবারের মতো দেখার জন্য সমবেত হয়। এত বিপুল সংখ্যক মানুষ দেখে মহানবীর মন আনন্দে ভরে ওঠে। এত মানুষ। এরা সবাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। মহানবী ভাবলেন, পৃথিবীতে তার কাজ শেষ হয়েছে।

প্রশ্ন : মহানবী (সা.) তার ভাষণে ক্রীতদাস-ক্রীতদাসী সম্পর্কে কী বলেছেন?

উত্তর : মহানবী (সা.) তার ভাষণে বলেছেন, 'তোমাদের ক্রীতদাস- ক্রীতদাসীরাও আলস্নাহর বান্দা। তাদের প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহার করো না। তোমরা নিজেরা যা খাবে, তাদেরও তাই খেতে দেবে; নিজেরা যে কাপড় পরবে, তাদেরও তাই পরতে দেবে। কোনো ক্রীতদাস যদি নিজের যোগ্যতায় আমির হন, তবে তাকে মেনে চলবে। তখন বংশমর্যাদার কথা বলো না। মনে রেখো, সব মুসলমান একে অন্যের ভাই।'

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে