যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী এবং টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী এলন মাস্কের। এরই জেরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মাস্ক হুমকি দেন, স্পেসএক্সের 'ড্রাগন' স্পেসক্রাফট নাসার প্রকল্প থেকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। পরে অবশ্য নিজের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এলেও এই মন্তব্য ঘিরে মার্কিন রাজনীতিতে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের একটি বিল নিয়ে প্রকাশ্যে বিরক্তি প্রকাশ করে হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা পদ থেকে সরে দাঁড়ান মাস্ক। এরপর বৃহস্পতিবার (৫ জুন) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংবাদমাধ্যমের সামনে মাস্কের আচরণকে "হতাশাজনক" বলে মন্তব্য করেন। পালটা মাস্ক বলেন, “আমাকে ছাড়া ট্রাম্প জিততেই পারতেন না। তখন হোয়াইট হাউস দখল নিত ডেমোক্র্যাটরা।”
এই বক্তব্য সামনে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুইজনের মধ্যে বাগযুদ্ধ চরমে ওঠে। ট্রাম্প ট্রুথ সোশালে এক পোস্টে লেখেন, “আমেরিকার ব্যয় সংকোচনের জন্য প্রথম কাজ হওয়া উচিত এলনের সরকারি ভর্তুকি ও চুক্তি বাতিল করা। এটা বাইডেন এতদিন করেননি, সেটা আশ্চর্য!” মাস্ক সেই পোস্টের স্ক্রিনশট এক্স (সাবেক টুইটার)–এ শেয়ার করে পালটা হুমকি দেন, “প্রেসিডেন্ট যদি চুক্তি বাতিল করেন, তাহলে স্পেসএক্স এখনই ড্রাগন স্পেসক্রাফট সরিয়ে নেবে।”
তবে পাঁচ ঘণ্টা পর এক ব্যবহারকারীর আহ্বানে মাস্ক কিছুটা নমনীয় হন। ওই ব্যবহারকারী লিখেছিলেন, “প্রকাশ্যে একে অপরকে আক্রমণ করা লজ্জাজনক। ভালো হয় যদি দু-একদিন এ নিয়ে চুপ থাকা যায়।” জবাবে মাস্ক জানান, আপাতত ড্রাগন স্পেসক্রাফট সরানো হচ্ছে না। পরে তিনি ড্রাগন স্পেসক্রাফটের ছবি ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পোস্ট করে লেখেন, “আমি এখনো টিম আমেরিকার সদস্য।”
তবে বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি সাময়িকভাবে শান্ত হলেও ট্রাম্প-মাস্ক সম্পর্ক যে ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে, সেটি আর অস্বীকারের সুযোগ নেই।