দুই নৌকা ভর্তি করে প্রায় ২৪ থেকে ২৫ জন যুবকের একটি স্বশস্ত্রদল পদ্মানদী থেকে উঠে এসে নদীর পাড়ে থাকা পাহারা দারের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়।
তারপর জয়বাংলা বলেই তারা এলোপাথারী গুলি ছুড়তে শুরু করে।
এরপর আচমকা সেই হামলায় আশপাশের সবাই পালিয়ে গেলে বালু ভর্তি করার কাজে ব্যবহৃত একটি পেলোটার ও দুটি ট্রাকে ভাংচুর চালায় সন্ত্রাসীরা।
বৃহস্পতিবার (৫ই জুন) বিকেলে উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের মাঝদিয়া ইসলাম পাড়া এলাকাবাসীর জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে আয়োজিত মানববন্ধনে এভাবেই ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন ভীতসন্ত্রস্ত জলী খাতুন (৫০)।
আনছার মাঝি (৬৮) এই সন্ত্রাসীরা প্রায়ই এখানে অযথা গুলাগুলি করে। তাদের অত্যাচারে আমাদের কৃষকরা চরে তাদের ফসল তুলতে যেতেও নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে।
জেলে আনিসুর রহমান (৫২) বলেন, আমরা আগে পদ্মায় মাছ ধরতে যেতাম কোন রকম চিন্তা ছাড়া। আর এখন এসব সন্ত্রাসীদের কারনে নদীতে মাছ শিকার করতেও যাইতে ভয় পায়। কখন জানি সন্ত্রাসীরা এসে গুলি করে মেরে ফেলে।
শাসের আলী (৬৫) বলেন, এরা আওয়ামী সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী কাকনের পালিত বাহিনী। তারা আজ ২ স্পিডবোটে করে আসে প্রায় ২৪/২৫ জন। এসে গুলাগুলি ও অগ্নিসংযোগ করে আবার চলে যায়।
দীপু (৪৫) বলেন, সন্ত্রাসীদের হামলার খবর জানলেও নৌ পুলিশের দেখা মেলে না। কখনো কখনো ঘটনার একদিন পরেও তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন।
লক্ষীকুন্ডা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, আমরা যখন টহলে থাকি তখন সন্ত্রাসীরা এমন ঘটনা ঘটায় না। আমরা চলে গেলেই তারা এসব কর্মকাণ্ড করে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুন নুর বলেন, সাড়া ঘাট আর বাহাদুরপুর ঘাটের চ্যানেল থেকে বালু উত্তোলন করা হয়।
এই বালু নিয়েই গত কয়েকদিনে দুইবার এমন ঘটনা ঘটল। এনিয়ে একটি মামলাও হয়েছে। সেই মামলার তদন্ত চলছে।###