শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

বাংলাদেশের নদ-নদী

শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
  ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশের নদ-নদী

ঢাকা বিভাগ

ধনু নদী

ধনু নদী বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৯০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ২২৮ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। ধনু নদীর গভীরতা ৮ মিটার। নদী অববাহিকার আয়তন ৭০০ বর্গকিলোমিটার। নদীটির পানিপ্রবাহ সারা বছরই থাকে। তবে ফেব্রম্নয়ারি মার্চে তা কমে যায়। বর্ষা মৌসুমে জুলাই-আগস্টে পানিপ্রবাহ বেড়ে যায়। জোয়ার-ভাটার প্রভাবমুক্ত হলেও বন্যায় নদীটি পস্নাবিত হয়।

ধনু নদী সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় প্রবাহিত বাউলাই বা বালু নদী হতে উৎপন্ন হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলায় মেঘনা নদীতে মিশেছে। নদীটির প্রবাহপথে মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুড়ি, ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলী, বাজিতপুর, ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলা রয়েছে। নদীতীরের উলেস্নখযোগ্য শহর হচ্ছে খালিয়াজুড়ি ইটনা, মিঠামইন।

নরসুন্দা নদী

নরসুন্দা নদী বা নাগচিনি নদী বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলার একটি নদী। কিশোরগঞ্জ জেলা শহর এবং নান্দাইল ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শহর এ নদীর তীরে অবস্থিত। নদীটির দৈর্ঘ্য ৫৭ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৮০ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। নদীটি বর্তমানে মৃত প্রায়। আবর্জনা, অবৈধ্য দখলে নদীটি খালে পরিনত হয়েছে।

ঘোড়াউত্রা নদী

ঘোড়াউত্রা নদী বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিশোরগঞ্জ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৩ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪৩৯ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার।

ঘোড়াউত্রা নদীর উৎপত্তি হয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার ধনু নদী থেকে। উৎপত্তির পর দক্ষিণমুখো হয়ে এই জেলারই বাজিতপুর উপজেলায় মেঘনা ও কালনীর সঙ্গমে মিলিত হয়েছে। মিঠামইন থেকে বেরিয়ে এটি নিকলী উপজেলা শহরের পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

নদীর তীরে গড়ে উঠেছে মিঠামইন উপজেলা। নদীটিতে জোয়ার ভাটার প্রভাব রয়েছে, তবে লবণাক্ততা নেই। নদীতে সারাবছরই পানি থাকে। নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো সাধারণত বন্যায় পস্নাবিত হয় না। পানির গড়গভীরতা শুকনো মৌসুমেও ১০ মিটারের কম নয়। আর বর্ষা মৌসুমে বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ মিটারে। এই নদীর গভীরতা ১৭ মিটার। নদী অববাহিকার আয়তন ১৬১৯ বর্গকিলোমিটার। শিমুলতলা গ্রামের শেখ জমিদারদের সকল ঘোড়া শিমুলতলা থেকে পূর্ব দিকে একটি নদ এ পানি খেত বলে ওই নদের নাম ঘোড়াউত্রা এবং এর সংলগ্ন গ্রামের নাম ঘোড়াদাড়া হিসেবে পরিচিতি লাভ করে বলে জনশ্রম্নতি রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে