বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

আইনজীবী আলিফ হত্যা: চিন্ময়কে প্রধান আসামি করে অভিযোগপত্র

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  ০২ জুলাই ২০২৫, ১০:১৯
আইনজীবী আলিফ হত্যা: চিন্ময়কে প্রধান আসামি করে অভিযোগপত্র
ইসকনের সাবেক সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। ছবি: যাযাদি

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় ইসকনের সাবেক সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে প্রধান আসামি করে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্রটি জমা দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। এই মামলায় চিন্ময় দাস এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন না। গত ৫ মে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আদেশ দেন।’

রায়হানুল ওয়াজেদ বলেন, ‘আলিফ হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় ও তদন্তেপ্রাপ্ত আসামি মোট ৪২ জন। যার মধ্যে এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর পলাতক রয়েছেন ১৮ জন। আসামিদের মধ্যে ৪ জনকে অব্যাহতি দানের প্রার্থনা করা হয়েছে।’

গত বছরের ২৫ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। এর কয়েকদিন পর ৩১ অক্টোবর চিন্ময়ের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এ মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়। একই বছরের ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়। রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরদিন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের আদালত। সেদিনই চিন্ময় দাসের আইনজীবীরা ওই আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন চেয়ে আবার জামিন আবেদন করেছিলেন। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে তার জামিন ঘিরে সংঘর্ষে জড়ান চিন্ময়ের ভক্তরা। তবে সংঘর্ষের সময় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে একজন আইনজীবীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

পরবর্তীতে আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আলিফ হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তারা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে