বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

দশম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ

সুধীরবরণ মাঝি, শিক্ষক হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয় হাইমচর, চাঁদপুর
  ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
দশম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ
দশম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ

বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বাণিজ্য

নিচে সায়হানের রাজশাহী থেকে সিলেটে ফুফুর বাড়ি যাওয়ার পথটি মানচিত্রে নির্দেশ করা হলো :

চিত্র : সায়হানের ফুফু বাড়ি যাওয়ার পথ

ঘ. উদ্দীপকের সায়হানের 'সিলেট থাকা চট্টগ্রাম' এবং 'চট্টগ্রাম থেকে আলুটিলা' পর্যন্ত যাতায়াত ব্যবস্থা উপস্থাপিত হয়েছে। সিলেটের সাথে চট্টগ্রামের উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। এছাড়া সিলেট স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের পথে নিয়মিত ট্রেন চলাচল করছে। কাজেই সায়হান সহজে সড়কপথে বা ট্রেনযোগে চট্টগ্রাম যেতে পারে। উপরন্তু সিলেট থেকে চট্টগ্রামে অভ্যন্তরীণ বিমান সার্ভিসও রয়েছে। অপরদিকে চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যন্ত যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত নয়। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পাহাড়ি বিধায় এখানে সড়কপথে যাতায়াত করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়াও উঁচুনিচু ও বন্ধুর ভূপ্রকৃতির জন্য খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় রেলপথ গড়ে ওঠেনি। আবার এখানকার নদীগুলো বেশ খরস্রোতা। তাই সায়হানের সিলেট থেকে চট্টগ্রাম যাতায়াত যেমন সহজ, ঠিক চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ির আলুটিলা যাওয়া তত সহজ নয়।

প্রশ্ন :

ক. আমদানি বাণিজ্য কী?

খ. বৈদেশিক বাণিজ্যে হিমায়িত খাদ্য রপ্তানির সুবিধাজনক পথ কোনটি এবং কেন?

গ. উপরের সারণিতে কোন বছর রপ্তানি ও আমদানি বাণিজ্যের ভারসাম্য সবচেয়ে কম? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উলিস্নখিত সারণি বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কে তোমার মতামত উপস্থাপন কর।

উত্তর :

ক. দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য যখন অন্য দেশ থেকে স্বদেশে কোনো পণ্যসামগ্রী আনা হয় তাকে আমদানি বাণিজ্য বলে।

খ. বৈদেশিক বাণিজ্যে হিমায়িত খাদ্য রপ্তানির সুবিধাজনক পথ হলো বিমানপথ। যেসব খাদ্য দ্রম্নত পচনশীল যেমন ইলিশ মাছ, চিংড়ি, দই, মিষ্টি ইত্যাদি পণ্যকে হিমায়িত করে দ্রম্নত রপ্তানি করতে হয়। হিমায়িত খাদ্য পচনশীল তাই জরুরিভিত্তিতে রপ্তানি করতে হয়। আকাশ পথ এক্ষেত্রে দ্রম্নত এবং সুবিধাজনক পথ।

গ. উপরের সারণিতে ২০১১-১২ বছরে রপ্তানি ও আমদানি বাণিজ্যে ভারসাম্য সবচেয়ে কম। ২০১০-১১ ও ২০১১-১২ সালে রপ্তানি ও আমদানি ভারসাম্য অনেক কম ছিল। তথা ঘাটতি বেশি ছিল। ২০১০-২০১১ সালে রপ্তানি আয় ছিল ২২,৯২৮.২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আমদানি ব্যয় ছিল ৩৩,৬৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১০৭২৯.৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১১-১২ সালে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দাঁড়ায় ১১২২৮.৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ২০১২-১৩ সালে রপ্তানি আয় ছিল ১২,৫৯৯.৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আমদানি ব্যয় ছিল ১৬,৪৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৩,৮৪২.২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি ভারসাম্যপূর্ণ। আমদানি ও রপ্তানি ব্যয়ের ব্যবধান থেকে বোঝা যায় যে, ২০১১-১২ অর্থবছরে বাণিজ্য ভারসাম্য সবচেয়ে কম ছিল।

ঘ. উলিস্নখিত সারণি বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের রপ্তানি আয় ও আমদানি ব্যয়ের মধ্যে ব্যবধান বিদ্যমান। ফলে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য ভারসাম্য পূর্ণ নয়। আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে ভারসাম্য না থাকলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কারণ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় তা আমদানি ব্যয়ে খরচ হয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশকে টিকে থাকতে হলে বৈদেশিক বাণিজ্যপণ্যের বহুমুখীকরণ আবশ্যক। কেবল এক বা দুটি পণ্য রপ্তানির ওপর গুরুত্ব না দিয়ে রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা ও গুণগত মান বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে হবে। বাংলাদেশে উৎপাদিত কাঁচামালের ওপর ভিত্তি করে আধুনিক শিল্পকারখানা স্থাপন করতে হবে। আমদানিকৃত কাঁচামাল দিয়ে তৈরি পণ্য অপেক্ষা নিজস্ব কাঁচামাল দিয়ে তৈরি পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা গেলে এদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য চাঙ্গা হবে। আর সেই সাথে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।

\হ

প্রশ্ন : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে বন্দর গড়ে উঠেছে। লিপি প্রতিদিন বিকালে তার বাবার সাথে নদীটির তীরে হাঁটে এবং বন্দরের কাজকর্ম লক্ষ করে। লিপি তার বাবার কাছে সমুদ্রপথ গড়ে ওঠার ভৌগোলিক কারণ জানতে চায়।

ক. বাণিজ্য কাকে বলে?

খ. পরিবহন বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে উলিস্নখিত পথ গড়ে উঠার ভৌগোলিক কারণগুলো ব্যাখ্যা কর।

ঘ. বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে লিপির দেখা বন্দরটির অবদান বিশ্লেষণ কর।

উত্তর :

ক. মানুষের অভাব ও চাহিদা মেটানোর উদ্দেশে পণ্যদ্রব্য ক্রয় বিক্রয় এবং এর আনুষঙ্গিক কার্যাবলি হচ্ছে বাণিজ্য।

খ. যাত্রী, পণ্য সামগ্রী এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আনা-নেওয়ার মাধ্যমকে পরিবহন বলে। পরিবহনের মাধ্যমে পণ্য সামগ্রী স্থানান্তরিত করা হয়ে থাকে। পরিবহন বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন : সড়ক-পরিবহন, নৌ-পরিবহন, রেলপরিবহন ও বিমান পরিবহন।

গ. উদ্দীপকে লিপির মুখে স্পষ্টত সমুদ্রপথের কথা উলিস্নখিত হয়েছে।

সমুদ্রপথ গড়ে ওঠার জন্য দেশের পার্শ্বে অবশ্যই সমুদ্রের অবস্থান দরকার। শুধু সমুদ্র থাকলেই হবে না, তার ভৌগোলিক কিছু বৈশিষ্ট্যও দরকার যা থাকলে সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলা যাবে। সমুদ্রপথ গড়ে ওঠার ভৌগোলিক কারণ : সমুদ্রপথ গড়ে ওঠার ভৌগোলিক কারণগুলো হচ্ছে-

পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে