বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরনি

নতুনধারা
  ০৮ জুলাই ২০২২, ০০:০০

আমাদের দেশে মিষ্টান্ন বা ডেজার্টের তালিকায় পায়েস, ফিরনি আর ক্ষির সবার কাছে পছন্দের। অনেকে পায়েস, ফিরনি আর ক্ষিরের মধ্যে পার্থক্য করতে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন।

ফিরনি : চালের খুদ বা গোটা চাল ভেঙে নিয়ে দুধ দিয়ে তৈরি করতে হবে।

পায়েস : গোটা চাল দুধের মধ্যে সেদ্ধ করে তৈরি করতে হবে এবং

ক্ষির : পায়েসের মতো, কিন্তু সরাসরি দুধের সঙ্গে খেজুরের রস এবং গুড় দিয়ে তৈরি করতে হবে। ক্ষির চালের পাশাপাশি কাওনের চাল দিয়ে তৈরি করারও একটা ট্রেডিশন রয়েছে।

তবে আজ সবগুলোর মধ্যে ফিরনি তৈরির পদ্ধতিটাই দেওয়া হলো :

উপকরণ

পোলাউ চাল :

এক/দেড় কাপ (ভালো সুগন্ধি চাল হলে ভালো হয়)

দুধ : এক লিটার (হাফ লিটারের কিছু বেশি হতে পারে, আপনি ইচ্ছা করলে আরও বেশি নিয়ে জ্বাল দিয়ে কমিয়ে নিতে পারেন)

চিনি :যেমন পছন্দ (বেশি না দেয়াই উত্তম)

দারুচিনি :কয়েক টুকরা (না থাকলে নাই)

এলাচি :কয়েকটা

কিসমিস :কয়েকটা

(পরিবেশনে আপনি চাইলে কিছু কাজু বাদাম কেটে দিতে পারেন)

প্রণালি

একটা পাত্রে দুধ গরম করুন এবং কিছুটা গাঢ় করে নিন। কয়েকটা এলাচ ও দারুচিনি দিয়ে দিতে পারেন। দুধ গাঢ় হয়ে গেলে ধুয়ে এবং পানিতে রাখা চাল ছেঁকে দিয়ে দিন। চাল নরম হয়ে এলে ঘুটনি দিয়ে ঘুটে দিন, সব চাল না ভাঙলে চলবে, তবে বেশিরভাগ ভেঙে এবং গলে যাবেই। মধ্যম আঁচে আগুন জ্বলবে এবং নাড়তে হবে। চাল নরম হয়ে এলে পরিমাণ মতো চিনি দিন। নাড়তে থাকুন। এবার কিছুটা গাঢ় হয়ে যাওয়ার পর কিছু কিসমিস দিয়ে দিন এবং নাড়ুন। যখন বুঁদ বুঁদ অবস্থায় এসে যাবে এবং চাল-দুধ মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে তখন বাটিতে ঢেলে নিন।

ঠান্ডা কিংবা হালকা গরম যে কোনোভাবেই পরিবেশন করতে পারেন। দুই অবস্থার দুই মজা!

বি. দ্র. : চিনির বদলে খেজুরের গুড় বা আঁখের গুড় ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে রং ভিন্ন হয়ে যাবে।

প্রতিটি পায়েস-ফিরনি ডিপ ফ্রিজে ১০ দিন ও নরমালে ৫ দিন রাখতে পারবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে