কেমন বুঝলেন দীর্ঘ ৮ বছর পর এই প্রত্যাবর্তনে?
সেটা তো আপনারাই ভালো বলবেন। আমরা আমাদের কাজ শেষ করেছি। আপনারাই সব খোঁজ-খবর রাখেন। বরং আপনাদের কাছেই আমরা আসল কথাটি শুনব ছবিটি সম্পর্কে দর্শক কী বলছে। মূলত দর্শকের মন্তব্যই এখানে ইম্পর্টেন্ট। এইতো আপনাদের অনলাইনেও একটা ভিডিও ক্লিপ দেখলাম আমাদের সিনেমাটি সম্পর্কে দর্শকের প্রতিক্রিয়া। দর্শক আসলে অপেক্ষা করে পছন্দের সিনেমা দেখার জন্য। একটা জিনিস কি খেয়াল করেছেন, এক সময় দর্শক যেমন ফ্যামিলির বাবা-মা-ভাই-বোন, মাসি-পিসি, আত্মীয়-স্বজন মিলে সিনেমা দেখত- এই সিনেমাটিও (প্রহেলিকা) সে রকম দেখা যাচ্ছে! দীর্ঘ ৮ বছর পর এই প্রত্যাবর্তনে আমার কাছে আসলে এটাই সবচেয়ে আনন্দের।
একটি সিনেমায় শতাধিক প্রেক্ষাগৃহ- এটাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
আপনি দেখেন দীর্ঘদিন ধরে শাকিব খান কিন্তু তার বাণিজ্যিক সিনেমা দিয়েই এ দেশের হলগুলোকে টিকিয়ে রেখেছেন। শাকিব খান কিন্তু একটা ফ্যাক্টর। তিনি কিন্তু তার আজকের জায়গাটি এক দিনে তৈরি করেননি। এটা অস্বীকার করা যাবে না। এটা কিন্তু প্রথমেই আপনাকে স্বীকার করতে হবে। এখন আমরা যারা ফর্মুলার বাইরে গিয়ে সিনেমা বানাতে চাই সেটা কি ধারাবাহিকভাবে দিতে পেরেছি? পারিনি। যা করেছি- একটা 'আয়নাবাজি', কিংবা 'মনপুরা', 'হাওয়া'- সবই দীর্ঘ কয়েক বছর পর গ্যাপ দিয়ে দিয়ে করেছি। এখন আমরা যদি এরকম সিনেমা কন্টিনিউ করতে পারতাম অন্তত দু'তিন মাস অন্তর এমন সিনেমা দিতে পারতাম তাহলে কিন্তু আজকে আপনিও এই প্রশ্নটি করতেন না। কাজেই আমাদেরও দুর্বলতা আছে।
'মনপুরা'র মতো না হলেও কিন্তু একটা গড়পড়তা মানে আসছে!
মনে রাখতে হবে গল্পই হচ্ছে একটি সিনেমার সুপারস্টার। এখন যেটা হচ্ছে সেটাকে ধরে রাখতে হবে এবং কন্টিনিউ করতে হবে। এটা কন্টিনিউ করতে পারলে এক সময়ে দেখবেন আবার আমাদের এখানে 'আয়নাবাজি', 'মনপুরা' কিংবা 'হাওয়া'কেও ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো সিনেমা হচ্ছে। এজন্য কিন্তু আমাদের সে রকম প্রোডিউসারও লাগবে। আপনি যেটা বললেন, এক সময়ে ঈদে মুক্তি পাওয়া রাজ্জাক, ওয়াসিম, ফারুক, আলমগীর সবার সিনেমাই ভালো হল পেত- আমাদেরও সে রকম হয়ে যাবে যদি আমরা আমাদের জায়গায় কন্টিনিউ হতে পারি। তখন নিশো, শাকিব, বাপ্পী, সিয়াম সবার সিনেমাই হল পাচ্ছে।
নতুন কোনো সিনেমা হাতে নিলেন?
সবে তো একটা শেষ করলাম। আগে সব গুছিয়ে নিই তারপরে আবার প্রস্তুতি নিব। এখন আসলে একটা ঘোরের মধ্যে আছি। এখন একটা হইচই-এর জন্য একটি ওটিটি পস্ন্যাটফর্মের কাজ করতে যাচ্ছি। নাম বলতে চাচ্ছি না কারণ এটা বলতে নিষেধ করা আছে। তবে এখন ইচ্ছা আছে প্রতি বছর অন্তত একটা সিনেমা এবং একটা ওটিটি করব। চারটা-পাঁচটা করব না- তবে বছরে একটা অন্তত সিনেমা ও ওটিটি করতে চাই।
যে টেলিভিশন আপনাকে তৈরি করেছে তার প্রতি আগ্রহ কেমন?
এটা ঠিক, টেলিভিশনই আমাকে তৈরি করেছে, বড় করেছে, আজকের মাহফুজ আহমেদকে বানিয়েছে। বিটিভি থেকে শুরু করে নাটকের প্রতিটি চ্যানেলই আমাকে তৈরি করেছে। তবে এই মুহূর্তে টেলিভিশনে যে কাজগুলো হচ্ছে তাতে আমি খুব স্বাভাবিকভাবেই চাইব এমন কাজ করতে, যে কাজ আমি বিগত সময়ে করিনি। সেই কাজই করব যা মানুষকে সামনের দিনগুলোতে নিয়ে যাবে। যাতে দর্শক দেখে বলতে পারে, 'ও মাই গড, এমন কাজই তো হওয়া উচিত ছিল'! টেলিভিশনে যেহেতু এখন চ্যালেঞ্জিং কাজ কম হচ্ছে তাই আপাতত এখান থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চাই।