বিশ্ববিখ্যাত মূকাভিনেতা, পরিচালক মার্সেল মার্সোর প্রয়াণ দিবস আজ। ৮৪ বছর বয়সে ২০০৭ সালের এই দিনে (২২ সেপ্টেম্বর) মার্সেল মার্সোর জীবনাবসান হয়। মার্সেল মার্সো একজন ফরাসি অভিনেতা ও মূকাভিনেতা ছিলেন। বিংশ শতাব্দীর আধুনিক মূকাভিনয় চর্চা এবং মার্সোর নাম সমার্থক হয়ে ওঠায় তার প্রয়াণের পরে এ দিনটিকেই 'বিশ্ব মূকাভিনয় দিবস' হিসেবে পালন করা হয়। তিনি তার মঞ্চ ব্যক্তিত্ব 'বিপ দ্য ক্লাউন' চরিত্রের জন্য সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ৬০ বছরের অধিক সময় বিশ্বব্যাপী পেশাদার মূকাভিনয় পরিবেশন করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে তিনি ফরাসি রেজিস্টেন্সে কর্মরত ছিলেন এবং ১৯৪৪ সালের আগস্ট মাসে প্যারিসের স্বাধীনতার পর ৩০০০ সৈন্যের সামনে বিশাল পরিসরে তার প্রথম পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। যুদ্ধের পর তিনি প্যারিসে নাট্যকলা ও মূকাভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি প্যারিসে নিজের পান্ডোমিম স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই শিল্পকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারের জন্য মার্সো ফাউন্ডেশন গঠন করেন।
মূকাভিনয় চর্চার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ১৯৯৮ সালে 'লেজিওঁ দনরের গ্র্যান্ড অফিসার' এবং ১৯৯৮ সালে 'ন্যাশনাল অর্ডার অব মেরিট' সম্মাননা লাভ করেন। এছাড়া টেলিভিশনে বিশেষ পারফর্মের জন্য একটি এ্যামি পুরস্কার অর্জন করেন। মার্সেল মার্সো বার্লিনের একাডেমি অব ফাইন আর্টসের একজন নির্বাচিত সদস্য এবং জাপানে 'জাতীয় সম্পদ' হিসেবে ঘোষিত। তিনি প্রায় ২০ বছর মাইকেল জ্যাকসনের বন্ধু ছিলেন এবং জ্যাকসন বলেছিলেন, তিনি নিজেও মার্সোর কিছু কৌশল তার নাচে ব্যবহার করতেন।
ফ্রান্স প্রবাসী একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশের মূকাভিনেতা পার্থ প্রতিম মজুমদার মার্সেল মার্সোর ছাত্র। মার্সো পার্থকে তার ছেলে বলতেন। পার্থ প্রতিম মজুমদারের হাত ধরেই ১৯৭৩ সালের দিকে বাংলাদেশে মাইম
শিল্পের চর্চা।