বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিলাসবহুল ক্রুজশীপ 'বে ওয়ানে' চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন ও বঙ্গোপসাগর ভ্রমণ

হ এস এন ইসলাম
  ২৫ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

বিশ্বের 'সি টু্যরিজমের' অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো ক্রুজশীপ বা বিলাসবহুল জাহাজ। এসব প্রমোদতরী গভীর সমুদ্রে ভেসে থাকা সত্ত্বেও এখানে রয়েছে আধুনিক সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা এবং নীল জলরাশি ও আকাশের মিতালি উপভোগ করার সকল ব্যবস্থা। একই সঙ্গে কাটানো যায় অবকাশের সেরা সময়গুলোও। কিন্তু নানা জটিলতায় বারবার উদ্যোগ নেয়া হলেও বিলাসবহুল ক্রুজশীপে চড়ে ঘুরে বেড়ানো আমাদের জন্য এতদিন অধরাই ছিল। তবে এবার সেই সুযোগের দুয়ার উন্মোচন হয়েছে বিলাসবহুল ক্রুজশীপ 'বে ওয়ান'-এর বদৌলতে।

সমুদ্রের নোনা হাওয়ায় বিলাসবহুল ক্রুজে শরীরটাকে মেলে দিয়ে ভেসে পড়ার সুযোগ এবার হাতের নাগালেই। আর এই অভূতপূর্ব সুযোগ করে দিয়েছে চট্টগ্রামের বিখ্যাত 'কর্ণফুলী শিপবিল্ডার্স লিমিটেড'। দেশের পর্যটকদের আন্তর্জাতিক মানের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা দিতে জাপান থেকে বিলাসবহুল এই বিদেশী ক্রুজশীপ 'বে ওয়ান' কেনা হয়েছে।

এটি এখন চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিনের মধ্যে চলাচল করছে। চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিনের মধ্যে চলাচলকারী পর্যটকবাহী বিলাসবহুল কোন ক্রুজশীপ দেশে এটিই প্রথম।

জাহাজটি সপ্তাহের প্রত্যেক বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে রাত ১১টায় ছেড়ে পরের দিন সকাল ৭টায় সেন্টমার্টিন পৌঁছায় এবং শুক্রবার সেন্টমার্টিন অবস্থান করে শনিবার সকাল ১১টায় পতেঙ্গার উদ্দেশে যাত্রা করে সন্ধ্যা ৭.৩০টায় এসে পৌঁছায়। এরপর সপ্তাহের সোমবার ও বুধবার জাহাজটি পতেঙ্গা ও সেন্টমার্টিনের মধ্যে যাতায়াত করে। সপ্তাহের শুক্র ও মঙ্গলবার জাহাজটি সেন্টমার্টিন অবস্থান করে।

এ প্রমোদতরীতে থাকছে দুই হাজার প্রেসিডেনশিয়াল সু্যট, বাংকার বেড কেবিন, টুইন বেড কেবিন, আরামদায়ক চেয়ারসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির আসন।

জাহাজটিতে কন্টিনেন্টাল ও বাংলা খাবারের জন্য আছে বাফেটসহ আধুনিক একাধিক রেস্তোরাঁ, স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডিং মেশিন এবং কয়েন পরিচালিত ঝর্ণা। কর্তৃপক্ষ জাহাজটিকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নতুন আঙিকে সাজিয়েছেন। ফলে জাহাজে এখন প্রায় দুই হাজার পাঁচশত আসনের ব্যবস্থা থাকছে।

জানা গেছে, জাপানের কোবেই শহরের মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজে তৈরি এই ক্রুজ শীপটির দৈর্ঘ্য ৪০০ ফুট, প্রস্থ ৫৫ ফুট ও ১৮ ফুট প্রায় ড্রাফট রয়েছে। এটির গড়গতি ঘণ্টায় ১৬ দশমিক ১ নটিক্যাল মাইল এবং সর্বোচ্চ গড়গতি ঘণ্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল। তবে বাংলাদেশের উপকূলীয় সমুদ্রপথে এই জাহাজ প্রতিঘণ্টায় গড়ে ১৮ থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। এর গভীরতা পাঁচ দশমিক চার মিটার। জাহাজটিতে মোট ১১ হাজার ২০০ বিএইচপি সম্পন্ন মেইন প্রপালেশন ইঞ্জিন রয়েছে, যা দিয়ে জাহাজটি প্রতি ঘণ্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল গতিতে ছুটতে পারবে। জাহাজটিতে ক্রু রয়েছে ১৬৭ জন।

সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকদের জন্য এই জাহাজে সর্বনিম্ন যাওয়া-আসার ভাড়া ৪০০০ এবং সর্বোচ্চ ৬০,০০০ টাকা। যাতায়াতের জন্য একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ যেমনঃ ইকোনমি প্যাকেজের আওতায় ইকোনমি সিটের ভাড়া ৪০০০ এবং বিজনেস ক্লাস চেয়ারের ভাড়া ৫৪০০, ওপেন ডেক-৬৫০০ এবং বাংকার বেড-৮০০০ টাকা।

৪ জনের ভিআইপি প্রেসিডেনশিয়ল পস্নাস কেবিন, ফ্যামিলি বাংকার কেবিন ও ব্রেকফাস্ট এন্ড ডিনারসহ ২ জনের দ্যা এম্পোরিয়ার্স কেবিন ৬০,০০০, ২ জনের রয়েল কেবিন-৫৫০০০, ২ জনের ভিআইপি প্রেসিডেনশিয়ল কেবিন-৪০,০০০ টাকা।

ওয়ান-ওয়ে ভাড়া : ইকোনমি ক্লাস-২২০০, বিজনেস ক্লাস-৩০০০, ওপেন ডেক-৪০০০ ও বাংকার বেড-৪৪০০ টাকা। অন্যদিকে ভিআইপি প্রেসিডেনশিয়াল কেবিন-২৪০০০ ও রয়েল কেবিন-৩৩০০০ টাকা এবং ভিআইপি প্রেসিডেনশিয়াল পস্নাস কেবিন, ফ্যামিলি বাংকার কেবিন, ভিভিআইপি কেবিন ও দ্যা এম্পোরিয়ার্স কেবিন-৩৫০০০ টাকা।

িি.িনধুড়হবনফ.পড়স, িি.িনফপৎঁরংব.পড়স, ইঁংনফ.পড়স

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে