শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাস্থ্যবিধি মানানোই বড় চ্যালেঞ্জ

কোরবানির পশুর হাট ও ঈদযাত্রায় সংক্রমণের ঝুঁকি ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হওয়ার শঙ্কা নির্দেশনাতে দায়সারা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেই
সাখাওয়াত হোসেন
  ৩০ জুন ২০২২, ০০:০০
আপডেট  : ৩০ জুন ২০২২, ১১:২০

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সরকার ছয় নির্দেশনা জারি করলেও আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে তা বাস্তবায়ন করা সরকারের অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে কোরবানির পশুর হাট, ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষে ঠাঁসা বাস-ট্রেন-লঞ্চ এবং ঈদের কেনাকাটায় ভিড় জমে ওঠা মার্কেট, বিপণী-বিতান ও শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা কঠিন হবে। ঈদের জামাত এবং এই ধর্মীয় উৎসবকেন্দ্রিক সামাজিক নানা আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দেওয়া লাখো মানুষের ঢলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানানোই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সংশ্লিষ্টরা জানান, আর ক'দিন বাদেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি কোরবানির পশুর হাটেই থাকবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। এ অবস্থায় রাজধানীর পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। গত বছরও করোনা সংক্রমণ রোধে রাজধানীর সব পশুর হাটে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। দেশের জেলা শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের গবাদিপশুর হাটগুলোতেও ছিল একই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে বিগত সময়ের মতো এবারও কোরবানির পশুর হাটকে ঘিরে করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। দুই সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, গত বছর করোনাকালে পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল কর্তৃপক্ষ। এবারও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে- কোরবানির পশুর হাটের নির্ধারিত সীমানা বহাল থাকবে। ইজারা গ্রহীতা নিজ ব্যবস্থাপনায় হাটের চৌহুদ্দি সংরক্ষণপূর্বক চৌহুদ্দির বাইরে যাতে পশুর হাট প্রসারিত না হয়-তা নিশ্চিত করবে। এ ছাড়া হাটের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব কর্মী নিযুক্ত করবে। হাটের মধ্যে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা যাবে না। একটি নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আর্বজনা রাখতে হবে। ইজারা গ্রহীতাকে হাটে পর্যাপ্ত অস্থায়ী টয়লেট স্থাপন করতে হবে। হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সাবান রাখতে হবে। গায়ে জ্বর থাকলে কাউকে হাটে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। হাটে প্রত্যেক প্রবেশকারীকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে হাটে প্রবেশ করতে হবে। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি-সংবলিত ব্যানার, পোস্টার টানানোসহ মাইকে ধারাবাহিকভাবে প্রচার করবে হাট ইজারাদাররা। জীবাণুনাশক দিয়ে হাটের সর্বত্র ও আশপাশের সংশ্লিষ্ট জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। হাটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাবান, পানির ড্রাম ও বেসিন রাখতে হবে। হাটে প্রবেশ এবং বের হওয়ার পৃথক গেট করতে হবে এবং নির্ধারিত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাটে প্রবেশ ও বের হতে হবে। বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিকে হাটে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। হাটে স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী যায়যায়দিনকে বলেন, কোরবানির পশুর হাট মানেই ক্রেতা-বিক্রেতা ও উৎসুক জনতাসহ প্রচুর লোকের সমাগম। যে কারণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি করা গেলে সবচেয়ে ভালো হতো। আর যদি একান্তই হাট বসাতে হয়, সে ক্ষেত্রে কার্যকরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই সঙ্গে করোনাকালে হাটের সংখ্যা যত কম রাখা যায়, ততই উত্তম। হাট মানেই অতিরিক্ত মানুষের আনাগোনা, তাই সংখ্যা যত কম করা যায়, এতেই সবার উপকার হবে। এদিকে এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোরবানির পশুর হাটে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। কিন্তু কোথাও ক্রেতা-বিক্রেতা ও হাটের কর্মকর্তা-কর্মচারী কারোর মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। এমনকি ৫ শতাংশ মানুষও হাটে মাস্ক পরে আসছে না। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো ধরনের নজরদারি নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সরকারের ছয় নির্দেশনার বিষয়টি তাদের অবহিত করা হলেও তা মানানোর ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা কী হবে, জানানো হয়নি। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা না পেলে তাদের পক্ষে কিছুই করা সম্ভব না। সরকারের নীতিনির্ধারক সূত্রগুলো জানায়, কোরবানির জন্য দেশে খামারি ও গৃহস্থরা সোয়া কোটি গরু-ছাগল-ভেড়া প্রস্তুত করেছেন। কোরবানির হাটগুলোতে বেচাকেনা ঠিকভাবে না হলে প্রাণিসম্পদ খাতটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খামারি ও গৃহস্থদের অনেককে পথে বসতে হবে। অথচ দেশে করোনা সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ দুয়ারে কড়া নাড়ছে। ফলে সরকার উভয় সংকটে পড়েছে। তাই দু'কূল রক্ষা করে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোরবানির সোয়া কোটি পশু কিনতে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা ও হাট কমিটির কর্মচারী মিলিয়ে তিন কোটি মানুষের সমাগম হবে। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা সরকার তথা প্রশাসনের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। তবে জনগণ সচেতন হলে, তা সহজেই মানানো যাবে। আর এমনটি সম্ভব হলে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন তারা। এদিকে ঈদযাত্রায় বাস-লঞ্চ-ট্রেনে ঘরমুখো মানুষের গাদাগাদি এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার প্রবণতা রোধ করাও সরকারের সামনে আরও একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের আরও করুণ পরিস্থিতির দিকে এগুতে পারে- এমন আশঙ্কা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না এলে আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়বে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যে সরকার সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে ছয় দফা নির্দেশনা দিয়ে দায় সেরেছে। বিশেষ করে ঈদযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কোনো গাইড লাইন দেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও দেওয়া হয়নি কোনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা। যানবাহনে যাত্রী পরিবহণের ব্যাপারেও গণপরিবহণ মালিকদের কোনো ছক দেয়নি সরকার। সব মিলিয়ে আসন্ন ঈদযাত্রা করোনা সংক্রমণের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে অনেকের মতে, এর আগে ঈদের সময় পরিবহণ বন্ধ রেখেও মানুষের গ্রামে ফেরা আটকানো যায়নি। বরং স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বিকল্প পথে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেছে। পরবর্তী সময় সংক্রমণ ও মৃতু্য বেড়েছিল। এ অবস্থায় ঈদের আগে ও পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকাটাই শ্রেয়। এতে সংক্রমণ হয়ত বাড়বে, কিন্তু মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি কম হবে। আর এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই শেষ ভরসা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণের পর এ পর্যন্ত চারটি ঈদ উৎসব উদযাপিত হয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকটি ঈদে মানুষকে যার যার স্থানে রাখার চেষ্টা করা হলেও এতে সফলতা আসেনি। মানুষকে আটকে রাখতে গণপরিবহণ, লঞ্চ ও ট্রেন সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু তারা মাইক্রোবাস, পিকআপ, প্রাইভেটকার, ট্রাকে করে দল বেঁধে বাড়ি ফিরেছেন। ওইসব ঈদযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। এরপরই সংক্রমণ ও মৃতু্য বেড়েছিল। এবারও সে আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু মানুষকে যেহেতু আটকে রাখা যাবে না, তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থাৎ প্রত্যেককে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। কোনো কিছু খাওয়ার আগে নূ্যনতম ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। এ বিষয়গুলো মেনে চললে সংক্রমণ কিছুটা কম হতে পারে। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, জীবন-জীবিকার সমন্বয় করতে গিয়ে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। কঠোর বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকলে হয়ত সংক্রমণ কম হতো। কিন্তু ঈদ সামনে রেখে সেটি অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, কোরবানির পশুর হাট বসবে। মানুষ যাতায়াত করবে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক অন্যান্য বিষয় রয়েছে। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। তবে সবারই উচিত; দেশ, জাতি, পরিবার ও নিজের স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। এদিকে ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে শপিংমল সবখানেই ক্রেতার ভিড় বেড়েছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, এই ভিড় ততই আরও বাড়বে। তবে কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা দূরে থাক, বরং গাদাগাদি করে চলছে কেনাবেচা। অধিকাংশ মার্কেটে নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। মাস্কেও অনীহা বিক্রেতা ও ক্রেতাদের। এদিকে যারা সচেতন, তারা বলছেন, সব মিলিয়ে মার্কেটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও মানাতে হ-য-ব-র-ল অবস্থা চলছে। রাজধানীর মাতুয়াইলের বাসিন্দা শাহ আলম বুধবার সকালে গাউছিয়া, চাঁদনিচক ও ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটে কেনাকাটা করতে গিয়ে রীতিমতো ভড়কে যান। তিনি জানান, বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা, গায়ে গা ঘেঁষে মানুষ কেনাকাটা করছে। অবস্থাদৃষ্টে তার মনে হয়েছে, যেন ঈদের আগে চাঁদরাত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সরকার যে ছয় দফা নির্দেশনা দিয়েছে, মার্কেটে কাউকে দেখেই তা বোঝা যাচ্ছে না। বুধবার সরেজমিন নিউমার্কেট, চাঁদনিচক, মালিবাগ, মৌচাক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কারও মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা নেই। অধিকাংশের মাস্ক থুঁতনিতে নামানো ছিল। করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ পরিস্থিতিতেও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে সকাল থেকে বিকাল-অবধি হাজার হাজার মানুষ কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিল। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর এ এস এম আলমগীর হোসেন বলেন, দেশের মানুষকে সার্বক্ষণিক মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পুরোপুরি উদ্বুদ্ধ করতে না পারলে সংক্রমণ রোধ করা কঠিন হবে। এদিকে ঈদের নামাজে মুসলিস্নদের স্বাস্থ্যবিধি মানানো সরকারের পক্ষে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, করোনা শুরুর বছর ঈদের জামাতে মুসলিস্নদের স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে বেশখানিকটা সচেতন ছিলেন। তবে পরবর্তী ঈদগুলোতে তা সেভাবে দেখা যায়নি। এর মধ্যে দীর্ঘদিন দেশে করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবং বেশিরভাগ মানুষ টিকার আওতায় আসায় তাদের মধ্যে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ভীতি পুরোপুরি উধাও হয়ে গেছে। এ অবস্থায় আসন্ন কোরবানির ঈদের নামাজের জামাতে তাদের কতটা সচেতন করা যাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে