শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

৩৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন এলসি নিষ্পত্তি ডিসেম্বরে

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
৩৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন এলসি নিষ্পত্তি ডিসেম্বরে

গত কয়েক মাস ধরে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) নিষ্পত্তি কমে ৪ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। যা ৩৭ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন ডলার সংকটে আমদানি হ্রাসে এলসি খোলা কমেছে। এতে আগের তুলনায় কমেছে পেমেন্টের চাপও। যা ডিসেম্বরে আরও কমে যাওয়ায় এলসি নিষ্পত্তিও কমেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেব বলছে, ডিসেম্বরে ৪ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে যা ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে এলসি খোলার পরিমাণ ৭ শতাংশ কমেছে। গত জুনে ৪ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল।

এছাড়াও জুলাই-নভেম্বর সময়কালে ভোগ্যপণ্যের জন্য এলসি খোলার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৭ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে এই সময়ে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও মধ্যবর্তী পণ্যের জন্য এলসি খোলা কমেছে ১৭ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে এর আগে হ পৃষ্ঠা ২ কলাম ৫

২০২০ সালের নভেম্বরে এলসি নিষ্পত্তির জন্য সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার পেমেন্ট করা হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংকগুলো এখন ডেফারড এলসির পাশাপাশি সাইট এলসি খোলায় এবং রেমিট্যান্সের প্রবাহ ভালো থাকায় এলসি নিষ্পত্তি ব্যয় কমেছে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মূলত সাইট এলসি খোলা হলে সেটির পেমেন্ট এক সপ্তাহের মধ্যে করে দিতে হয়। আর ব্যাংকগুলোর হাতে ভালো ডলার তারল্য থাকলে সাইট এলসি খুলে থাকে। অন্যদিকে, ডেফারড এলসি খোলা হলে সেটির পেমেন্টের জন্য ৯০ থেকে ১৮০ দিন সময় পাওয়া যায়। ব্যাংকগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডেফারড এলসি খুলে আমদানি করে থাকে। অর্থাৎ ডিসেম্বরে যেসব এলসির পেমেন্ট করা হয়েছে সেগুলোর একটি বড় অংশের আমদানি এলসি খোলা হয়েছে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকগুলোতে আগের মতো ডলার সংকট না থাকলেও তারা নতুন এলসি খোলার আগে এলসি পেমেন্টের নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক থাকছে। এর ফলে আমদানি এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে। জানা গেছে, ব্যাংকগুলোতে এখন আগের মতো ডলার সংকট না থাকলেও উদ্বৃত্ত থাকার মতো ডলারও নেই। তারা এখন আমদানি এলসি খোলার আগে সেটির পেমেন্টের ম্যাচুরিটির বিষয়টি মাথায় রাখছে। ফলে এলসি কম খোলা হচ্ছে এবং পেমেন্টের চাপও আগের তুলনায় কমছে।

এদিকে জানুয়ারির শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ব্যবসায়ীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন। এসব কারণে নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ কমাও এর অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এর বাইরেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা আমদানি কমাতে বাধ্য হয়েছেন। তবে জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ায় আমদানি বাড়তে পারে বলেও জানান তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে