যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এই ভোট পরবর্তী প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি প্রতিনিধি সভা ও সিনেট গঠনও নির্ধারণ করবে। এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত কয়েক সপ্তাহের জরিপে দুইজনেরই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা গেছে। ভোটের ফল যাই হোক না কেন, সেটা আগামী চার বছরের জন্য মার্কিন রাজনীতি এবং পররাষ্ট্রসহ বিভিন্ন নীতিনির্ধারণ করবে।
আমেরিকার পূর্ব উপকূলে ভারমন্টে স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এটি এক ঐতিহাসিক নির্বাচন। কারণ, ভোটাররা হয় হ্যারিসকে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে অথবা ট্রাম্পকে প্রথম দন্ডিত অপরাধী হিসেবে নির্বাচিত করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্বাচনের আগাম ভোট দেওয়ার সংখ্যা আট কোটি ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে চার কোটি ৪০ লাখের বেশি ভোটার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আর প্রায় তিন কোটি সাত লাখ ভোটার ডাকযোগে ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচনের আগে এবারের প্রচারণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সংকট সমাধানের পাশাপাশি ইউক্রেন ও গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ, আফগানিস্তানে তালেবান ইসু্যসহ গুরুত্বপূর্ণ নানান বৈশ্বিক বিষয়গুলোও গুরুত্ব পেতে দেখা গেছে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের ওয়েবসাইটে থাকা তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালে দুই-তৃতীয়াংশ (৬৬ শতাংশ) ভোটার ভোট দিয়েছিলেন। ১৯০০ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রে কোনো জাতীয় নির্বাচনে এটাই সর্বোচ্চ ভোট।