রোববার, ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা

খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলের শুনানির আদেশ আজ

যাযাদি ডেস্ক
  ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলের শুনানির আদেশ আজ
খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল করার অনুমতি মিলবে কি না, তা আজ জানা যেতে পারে।

রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা পৃথক লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ওপর আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ রোববার আদেশের এই দিন ধার্য করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রম্নয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৫ রায় দেন। রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দেওয়া হয়।

এই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। এই আপিলের ওপর শুনানি

শেষে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ২০১৯ সালে আপিল বিভাগে পৃথক দুটি লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।

পৃথক লিভ টু আপিল ৩ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওঠে। সেদিন আদালত পৃথক লিভ টু আপিল আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ১০ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেন। এর ধারাবাহিকতায় পৃথক লিভ টু আপিল শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী কায়সার কামাল শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান শুনানিতে অংশ দেন।

এ সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, এম বদরুদ্দোজা ও মো. রুহুল কুদ্দুস এবং আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, মাকসুদ উলস্নাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

'টাকা আত্মসাতের কিছু দেখা যাচ্ছে না'

বিচারিক আদালত একতরফা রায় দিয়েছেন উলেস্নখ করে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনকে এ মামলায় বিচারিক আদালত ৫ বছর সাজা (কারাদন্ড) দেন। হাইকোর্ট তা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। কীভাবে সাজা বাড়ানো হলো, তা উপস্থাপন করতে চান বলে শুনানিতে উলেস্নখ করেন তিনি।

এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল হাইকোর্টের রায়ের অংশবিশেষ উপস্থাপন করেন।

মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র ও বিচারিক আদালতের রায়ের অংশবিশেষ তুলে ধরে দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, 'এখানে টাকা আত্মসাতের কিছু দেখা যাচ্ছে না। ফান্ড মুভ হয়েছে। টাকা অ্যাকাউন্টে জমা আছে। আত্মসাতের কিছু নেই।'

বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়ার ৩৪২ ধারায় দেওয়া বক্তব্য শুনানিতে তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল-সংক্রান্ত কোনো অনুদান গ্রহণ বা বিতরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলা হয়েছে। কবি কাজী নজরুল ইসলামের রাজবন্দির জবানবন্দির একটি প্রতিফলন ওই বক্তব্য এসেছে।

এরপর কয়েকটি যুক্তি তুলে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, সাজা বাড়িয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে আইনের ত্রম্নটি রয়েছে ও ভ্রান্ত ধারণাপ্রসূত।

শুনানি নিয়ে আদালত সোমবার আদেশের জন্য দিন রাখেন।

ছাত্র-জনতার অভু্যত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৬ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দন্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা আপিল শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক তৈরির জন্য অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন ৩ নভেম্বর মঞ্জুর করেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। হাইকোর্টে ২০১৮ সালে খালেদা জিয়া আপিলটি করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে