বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) নির্বাচনী কার্যক্রমের ওপর ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উলস্নাহ মিয়া। অপরপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) নির্বাচনী তফসিল স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উলস্নাহ মিয়া আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বায়রা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা ১৯৯৪ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত। ওই বিধিমালার বিধি ১৪-তে স্পষ্ট উলেস্নখ আছে যে, প্রত্যেক বাণিজ্য সংগঠনের বিদ্যমান কার্যনির্বাহী কমিটি পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটির ক্ষেত্রমতে সংশ্লিষ্ট সদস্য পদের নির্বাচনের অন্তত ৯০ দিন পূর্বে নির্বাচনী বোর্ড গঠন করবে এবং ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচনে আপিল ভোট গঠন করবে। কিন্তু বর্তমান বায়রার যে আংশিক কমিটি রয়েছে, তারা এই তফসিল গত ২৪ অক্টোবর ঘোষণা করেছে এবং ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। যা ৯০ দিনের আগে করা হয়েছে। এ ছাড়া এরই মধ্যে নয়জন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদত্যাগ করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে পরিচিত তিনি এরই মধ্যে পালিয়ে গেছেন। বর্তমান সভাপতি বিদেশে পালিয়ে আছেন। এ অবস্থায় নির্বাচনী তফসিলটি ঘোষণা করা সম্পূর্ণ অবৈধ। যার ফলে হাইকোর্ট তফসিল স্থগিত করেছেন। এই আদেশের ফলে বায়রা নির্বাচন স্থগিত থাকবে।