বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঢাবিতে 'মার্চ ফর প্যালেস্টাইন'

যাযাদি রিপোর্ট
  ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আন্তর্জাতিক প্যালেস্টাইন দিবস উপলক্ষে সংহতি জানিয়ে শুক্রবার রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে 'মার্চ ফর প্যালেস্টাইন' পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা -যাযাদি

আন্তর্জাতিক প্যালেস্টাইন দিবস উপলক্ষে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে 'মার্চ ফর প্যালেস্টাইন' কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরবর্তীতে রাজু ভাস্কর্য থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর, ফুলার রোড, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে পুনরায় রাজু ভাস্কর্য ফিরে আসেন।

সংহতি দিবস উপলক্ষে বড় একটি পতাকা তৈরি করেন শিক্ষার্থীরা। সেই বড় পতাকা নিয়ে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দিক প্রদক্ষিণ করেন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা 'আরাকান থেকে ফিলিস্তিন, মুক্তি পাক মুক্তি পাক', 'আমরা কী চাই, তোমরা কী চাও, আজাদী আজাদী', 'হিন্দুত্ববাদ, মুজিববাদ, নিপাত যাক নিপাত যাক', 'টু জিরো নো মোর, জায়ানিজম নো মোর', 'ফ্রি-ফ্রি প্যালেস্টাইন, ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি'সহ নানা সেস্নাগান দেন।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, 'ইসরায়েল তার সমস্ত শক্তি দিয়ে নিরীহ মুসলিমদের হত্যা করে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনি মুসলিমদের স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার তারা কেড়ে নিয়েছে। ফিলিস্তিনের এই যুদ্ধ স্বাধীনতার যুদ্ধ। তাদের এই সংগ্রাম অস্তিত্বের সংগ্রাম।'

ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক আরও কলেন, 'যেভাবে ফিলিস্তিনে গুলি চালানো হয় ঠিক একইভাবে আমাদের ওপরেও হাসিনা গুলি চালিয়েছে। আমরা যখন ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে দাঁড়াই তখন ফিলিস্তিনের জনতার স্পিরিট আমাদের মধ্যে প্রতিফলিত হয়। তাই আমরা ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি।'

ঢাবির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. হাসিবুর বলেন, 'বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ তো নিচ্ছেই না, উপরন্তু তারা কোনো সমবেদনাও দেখাচ্ছে না। এই অত্যাচার নিরসনে আমরা ফিলিস্তিনি নিপীড়িত নাগরিকদের পক্ষে আমাদের সংহতি জানাচ্ছি। অতি দ্রম্নত যেন ফিলিস্তিনি নিপীড়িত নাগরিকদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন বন্ধ হয়। সেই সঙ্গে যেন ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হয়।'

এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক লুৎফর রহমান, রিফাত রশিদ ও মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ প্রতি বছর ২৯ নভেম্বর ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশে আন্তর্জাতিক এ দিবসটি পালনের আহ্বান জানানো হয়। এর ১০ বছর পরে ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরপর থেকে দিনটি আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিনি সংহতি দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে