শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

বিদু্যৎ বিলের ১৩৫ কোটি টাকা চায় ত্রিপুরা

যাযাদি ডেস্ক
  ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বিদু্যৎ বিলের ১৩৫ কোটি টাকা চায় ত্রিপুরা

আদানি গোষ্ঠীর পর এবার বকেয়া ঋণ শোধের জন্য ইউনূস সরকারের ওপর চাপ বাড়াল ত্রিপুরাও। বাংলাদেশের অন্তর্র্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করেছে অবিলম্বে তারা যেন ১৩৫ কোটি টাকার বকেয়া বিদু্যৎ বিল পরিশোধ করে। ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি হয়েছিল ত্রিপুরা সরকারের। এই চুক্তির মাধ্যমে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হতো বিদু্যৎ।

ত্রিপুরার বিদু্যৎমন্ত্রী রতন নাথ বাংলাদেশের বকেয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন। তবে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, নিয়মিত বকেয়া মিটিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, 'যদিও ১৩৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে, তবে বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে বকেয়া মেটাচ্ছে।'

বিদু্যৎমন্ত্রী

\হআরও মনে করিয়ে দেন, বিদু্যৎ বাবদ প্রতি ইউনিট হিসাবে ছ'টাকা ৬৫ পয়সা করে নেয় ত্রিপুরা সরকার। ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি করপোরেশন লিমিটেড (টিএসইসিএল) বিদু্যৎ সরবরাহ করে থাকে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডকে (বিপিডিবি)। কিন্তু বকেয়া টাকা ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যেতেই বাংলাদেশে বিদু্যৎ সরবরাহ বন্ধ করেছিল টিএসইসিএল। চলতি বছরের মে মাসে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে গত এক বছর ধরে সময়মতো টাকা শোধ দেয়নি বাংলাদেশ। ফলে বেড়েছে বকেয়া। এর মধ্যে বাংলাদেশে চলতে থাকা ভারতবিরোধী কার্যকলাপ ও 'সংখ্যালঘু নির্যাতনে'র ঘটনার জেরে ইউনূস সরকারকে দ্রম্নত এই বকেয়া পরিশোধে অবিহিত করা হয়েছে ত্রিপুরার তরফে। বিদু্যৎমন্ত্রী বলেন 'আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি বকেয়া টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে চিঠিও লিখেছি, আমি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছি।'

এদিকে আদানিদের সঙ্গে বিদু্যৎ নিয়ে সমস্যা চলছে বাংলাদেশ সরকারের। ২০১৭ সালে শেখ হাসিনার আমলে আদানি গোষ্ঠীর বিদু্যৎ চুক্তির বিষয়ে হাইকোর্ট তদন্তের নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্তর্র্বর্তী সরকারও আদানিসহ ছ'টি সংস্থার সঙ্গে হওয়া বিদু্যৎ চুক্তি খতিয়ে দেখছে।

সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে