সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

ডুমুরিয়ায় জলাবদ্ধতা নিরসনে খুলে দেওয়া হলো ৩ স্স্নুইচ গেট

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি
  ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ডুমুরিয়ায় জলাবদ্ধতা নিরসনে খুলে দেওয়া হলো ৩ স্স্নুইচ গেট

বিল ডাকাতিয়াসহ ডুমুরিয়ার পানি নিষ্কাশনে খুলে দেওয়া হয়েছে আরও ৩টি স্স্নুইচ গেট। বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কালীঘাট, নালা ও খয়রাতলা স্স্নুইচ গেটগুলো খুলে দেওয়া হয়। এসব পানি পাউবো'র ২৮/১ পোল্ডার আওতাধীন গুটুদিয়া ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে ময়ূর নদী হয়ে বের হবে। তবে প্রশাসনের অভিযানে খালের অবৈধ বাঁধ কাটা হলেও রয়ে গেছে অসংখ্য নেট-পাটা! যার কারণে পানির সরবরাহে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে বিলপাবলা বিলাঞ্চল নতুন করে পস্নাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

জানা যায়, বিল ডাকাতিয়াসহ ডুমুরিয়া পস্নাবিত অঞ্চলে দ্রম্নত জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা প্রশাসন ব্যতিক্রম উদ্যোগ নেয় বিকল্প পথে পানি বের করার। তবে গুটুদিয়া ইউনিয়নের বিশেষ করে বিলপাবলা এলাকার বাসিন্দারা প্রাথমিকভাবে এ কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেও পরবর্তীতে পস্নাবিত এলাকার মানুষের চাপে নমনীয় হয়। এদের মধ্যে অনেকেই অবৈধভাবে গেটের সরকারি খাল দখল করে মাছ চাষ করছেন। খালগুলোতে অনেক জায়গায় আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে গত ৩দিন ধরে খাল সচল করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। এ কাজে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. আরাফাত হোসেন। এতে পাউবো'র কর্মকর্তারাও সহযোগিতা করেন। তবে কথা ছিল গেট ছাড়ার আগে খালের সকল নেট-পাটা ও অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদ করার। কিন্তু বাঁধ উচ্ছেদ হলেও খালে রয়ে গেছে নেট-পাটা!

কৈয়া পানি ব্যবস্থাপনা অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সরোজ মন্ডল জানান, কথা ছিলো খাল সচল করে গেটের কপাট ছাড়ার। শুধুমাত্র বাঁধগুলো কেটে দেওয়া হয়েছে। থেকে গেছে অসংখ্য নেট-পাটা। এরমধ্যে পানি ছেড়ে দেওয়া হলো। সকালে গেট ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, বিকালের মধ্যে ৯ ইঞ্চি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ওই বিলে।

গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম বলেন, 'আমি আপাতত কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না। এর কারণ, না পারছি গুটুদিয়াবাসীর পক্ষে কথা বলতে না পারছি বিলডাকাতিয়াবাসীর পক্ষে কথা বলতে। সবমিলে আমি খুবই চাপে আছি।'

রঘুনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনোজিত বালা বলেন, 'খালগুলোর অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে নেট-পাটা রয়েছে অসংখ্য। এরফলে পানি প্রবাহে কিছুটা হলেও বাধাগ্রস্ত হবে।'

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন জানান, 'গত তিনদিন ধরে অভিযান চালিয়ে অসংখ্য বাঁধ উচ্ছেদ করেছি এবং পর্যায়ক্রমে খালের অবৈধ নেট-পাটাগুলো অপসারণ করা হবে। তিনটি গেটের ৬টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে এবং প্রচুর পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। এবার আশাকরি দ্রম্নত জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে