ভূমিকম্পের পেছনে মানুষের কর্মকান্ডের প্রভাব রয়েছে বলে জানিয়েছেন বশেমুরকৃবি'র গবেষকরা। গত বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরকৃবি) মানবসৃষ্ট ভূমিকম্পের পরিবেশগত প্রভাব ও ফরেস্ট্রি গ্র্যাজুয়েটদের সুযোগ ও করণীয় বিষয়ে সেমিনারে তারা এ কথা বলেন।

ওইদিন সকাল ১১টায় ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট অনুষদের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো অডিটরিয়ামে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বশেমুরকৃবি'র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জি.কে.এম. মোস্তাফিজুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন সিলেট নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের হেলথ ইনফরমেটিক্স টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ও প্রধান ড. মো. রহিমুলস্নাহ মিঞা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মাইন উদ্দীন মিঞা। সেমিনারে ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় বাংলাদেশকে ভূতাত্ত্বিক ও ভূমির গঠন অনুসারে ভূমিকম্পন প্রবণ অঞ্চল অ্যাখ্যা দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, যে কোনো দুর্যোগ মানবসৃষ্ট এবং প্রাকৃতিক এই দুই উপায়ে সংঘটিত হয়ে থাকে। তবে মানবসৃষ্ট ভূমিকম্প মানুষের সচেতনার অভাব থেকেই সৃষ্ট হয়। এ সেমিনারের আলোচনা থেকে মানবসৃষ্ট ভূমিকম্প কীভাবে এবং কেন সংঘটিত হয় সে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা সম্যক ধারণা পাবে। এর প্রেক্ষিতে পরে একে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করলে সেমিনারটি সার্থক ও ফলপ্রসূ হবে।

প্রধান বক্তা ড. রহিমুলস্নাহ বলেন, বিগত বেশকিছু বছর ধরে দেশ-বিদেশে যত ভূমিকম্প হয়েছে তার সবকটির পেছনে মানুষের কর্মকান্ডের প্রভাব ছিল। তবে এ ভূমিকম্প কেবল ভূমির ওপরই সংঘটিত হয় না, বরং মানবদেহেও (যেমন, মৃগীরোগ) সৃষ্ট হয়ে থাকে বলে তার বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনায় উলেস্নখ করেন। সিসমোলোজিক্যাল রিসোর্স লেটারে প্রকাশিত সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে ২০১৭ সাল থেকে এক দশকে ১০৮টি স্থানে মানবসৃষ্ট ভূমিকম্প হয়েছে, যেগুলোর বেশির ভাগ কারণ হিসেবে এনড্রয়েড মোবাইল, স্যাটেলাইট, সুবিশাল স্থাপনা নির্মাণ, পারমাণবিক বিস্ফোরণ, তেল-গ্যাস উত্তোলন, কৃত্রিম জলাধার খনন, খনি খনন ইত্যাদিকে দায়ী করা হয়।

সেচ সংকটে তাহিরপুরের ২৩ হাওড়ের ইরি বোরো ফসল