ঝিনাইদহের কালীঞ্জে বিএনপির দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষে ৫ জন জখম হয়েছেন। এদের মধ্যে সিদ্দিক নামে এক বিএনপি সমর্থককে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। সিদ্দিক খালকুলা গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে। সংঘর্ষের সময় তিনটি বোমার বিস্ফোরণ, একটি মোটর সাইকেল ও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কোলা বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। সংঘর্ষে আরও জখম হন- শুকুর আলী (৬০), আব্দুল জলিল (৪৫), সাজ্জাদুর রহমান (৩৫) ও নজরুল ইসলাম (৫০)।
এদিকে শনিবার সকালেও কোলা বাজারে বসে থাকা অবস্থায় কোলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম সরোয়ার হোসেন মোলস্নাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
স্থানীয়রা বলছেন, কালীগঞ্জ বিএনপির একাংশের নেতৃত্ব দেওয়া সাইফুল ইসলাম ফিরোজ গ্রম্নপের কোলাবাজার এলাকার নেতা আব্দুল জলিল ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলী জানান, আমি উত্তেজনার কথা শুনে বিষয়টি জানতে গিয়েছিলাম। এসময় কয়েকজন আমাকে ধর এই শালাকে বলে কুপাতে থাকে। এসময় আমার সঙ্গে থাকা সঙ্গীরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মানিক গাইন জানান, এ ঘটনায় কোনো মামলা বা অভিযোগ হয়নি। মারামারি করা দুই গ্রম্নপই ফিরোজ ভাইয়ের লোক। এটা নিজেদের মধ্যে মারামারি। তবে, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে যোগ করেন।