বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

দুই জেলায় নানা আয়োজনে মুক্ত দিবস পালিত

স্বদেশ ডেস্ক
  ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
দুই জেলায় নানা আয়োজনে মুক্ত দিবস পালিত
দুই জেলায় নানা আয়োজনে মুক্ত দিবস পালিত

মেহেরপুর ও নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, সর্বস্তরের অংশগ্রহণে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এ দিবস পালিত হয়েছে।

\হমেহেরপুর প্রতিনিধি জানান, মেহেরপুরে শুক্রবার শহরের কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মাহমুদা খানম, অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকসহ মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। পরে জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়াও দিনটি ঘিরে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছেন জেলা প্রশাসক ও মুক্তিযোদ্ধারা।

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুরে এ উপলক্ষে শুক্রবার বেলা ১১টায় উপজেলা চত্বরে সর্বস্তরের অংশগ্রহণে পায়রা উড়িয়ে এক বর্ণাঢ্যর্ যালি পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীরের সভাপতিত্বে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোছাম্মৎ জেবুনেচ্ছা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সোহরাব হোসেন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্নিগ্নেন্দু বাউল, ওসি মো. বাচ্চু মিয়া, আয়কর উপদেষ্টা অজয় সাহা, উপজেলা বিএনপি'র সদস্যসচিব আব্দুল আওয়াল, পৌর বিএনপি'র সদস্যসচিব হারেজ গনি, প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক জামাল তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বিকাশ সরকারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, পাকিস্তানি মেজর সুলতানের নেতৃত্বে বিরিশিরিতে একটি শক্তিশালী পাকসেনা ঘাঁটি গড়ে উঠেছিল। এখান থেকেই বাংলার কুখ্যাত দালাল, আলবদর, রাজাকারদের সহযোগিতায় নিয়ন্ত্রণ করত দুর্গাপুর ও কলমাকান্দার সীমান্ত এলাকাগুলো। সেই সঙ্গে বুদ্ধিজীবী মানুষদের ধরে এনে রাতের আঁধারে বিরিশিরি'র বধ্যভূমিতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হতো। সর্বপ্রথম যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে নেত্রকোনা সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক শহীদ আরজ আলী, এমকেসিএম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল আওয়াল, দুর্গাপুরের তদানীন্তন এমএনএ গৌরাঙ্গ চন্দ্র সাহা, কুলস্নাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন, শিক্ষক আশুতোষ সান্যাল, কাকৈরগড়া ইউনিয়নের শিক্ষক জালাল উদ্দিন তালুকদার, সমাজসেবক ধীরেন্দ্র নাথ পত্রনবীশ, সুসং ডিগ্রি কলেজের ছাত্র দিলদার হোসেন, বিলস্নাল হোসেন, কৃষক ইমাম হোসেন ও ছোট্রনীসহ নাম অজানা অনেককেই। এছাড়া ৫ মে গাঁওকান্দিয়া গ্রামে ১৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে একসঙ্গে গুলি করে হত্যা করেছিল পাকসেনারা। নতুন প্রজন্মের কাছে এ তথ্যগুলো জানাতে সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে