সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
রেললাইনের পাশে শীতবস্ত্র বিক্রি

সৈয়দপুরে ট্রেন চলাচলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সৈয়দপুরে ট্রেন চলাচলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেললাইনের দুই ধারে গড়ে ওঠা শীতে পুরাতন শীতবস্ত্র বিক্রির বাজার -যাযাদি

নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেললাইনের দুই ধারে গড়ে ওঠা শীতে সৈয়দপুরের গরীব-অসহায় মানুষের ভরসাস্থল পুরাতন শীতবস্ত্র বিক্রির বাজার ট্রেন দুর্ঘটনায় মানুষজনের প্রাণহানির আংশকায় পরিণত হয়েছে। সৈয়দপুর রেল স্টেশন থেকে দক্ষিণ দিকে ২শ' গজ দূরে বিচ্ছিন্নভাবে সৈয়দপুরের প্রধান ডাকঘর ঘেঁষে এবং দক্ষিণ দিকে আরও ২শ' গজ জুড়ে রেললাইনের দুই ধার ঘেঁষে গড়ে ওঠা বাজারের এসব দোকানে প্রতিদিন ভিড় করছে শত-শত নারী ও পুরুষ। এতে জন-জটলায় ট্রেন চলাচলে প্রতিমুর্হুতে বিঘ্ন ঘটছে। ফলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

দুর্ঘটনা রোধে বাজার সরাতে রেলওয়ে পুলিশকে (জিআরপি) লিখিতভাবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানালেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয় নি বলে একটি সূত্রে জানা যায়। এতে প্রাণহানির আশংকা করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, রেল লাইনের উভয় পাশে কমপক্ষে ২০ফুট করে জায়গা ফাঁকা রাখার বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেলপথের উভয় পাশে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গার ব্যবস্থা রয়েছে।

কিন্তু এসব জায়গা চলে যাচ্ছে অবৈধ দখলদারদের কবলে। সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের ২শ' গজ দক্ষিণে দুই নম্বর রেল গেটটি (ডাকঘর সংলগ্ন) অত্যন্ত জনবহুল এলাকায় অবস্থিত। ফলে ওই স্থানে প্রায়শই ট্রেনে কাটা পড়ে অসংখ্য জীবনহানীর ঘটনা ঘটছে।

জিআরপি পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, দূর্ঘটনাপ্রবণ ওই এলাকায় প্রায় দূর্ঘটনায় মানুষজনের প্রাণহানী ঘটছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন সুত্র জানায়, ওই এলাকাতে বসানো হচ্ছে পুরাতন কাপড়ের বাজার। দু'শতাধিক দোকান গড়ে উঠেছে রেলপথের ওপরেই। অবৈধ দখলদারেরা ওই এলাকাটিতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে রেলপথে এসব দোকানকে কেন্দ্র করে গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভিড়। ভয়াবহ জন-জটলায় ট্রেন চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।

রেলওয়ে স্টেশনের সূত্র জানায়, স্টেশন মাস্টার এসব দোকান উচ্ছেদে বার-বার জিআরপি পুলিশকে অনুরোধ জানালেও অজ্ঞাত কারণে ওই সব অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ হচ্ছে না। তবে, একটি সূত্র জানায়, এসব দোকানদারদের নিকট থেকে প্রতি নিয়ত টাকা নেন একটি মহলের লোকজন।

এ নিয়ে জানতে রেলওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মাহামুদ উন নবীর মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এলাকার সচেতন মহল বড় ধরণের কোনো দূর্ঘটনা ঘটার আগে এ মার্কেটটি উচ্ছেদ করে প্রয়োজনে অন্যত্র ভালো কোনো জায়গায় এদের বসার ব্যবস্থা করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃস্টি আকর্ষণ করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে