ইউএনও'র বদলি আদেশ প্রত্যাহার দাবিতে কুমিলস্নার লাকসামে এবং পদ্মা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিতর্কিত শিক্ষককে অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। প্রতিনিধিদের পাঠানোর বিস্তারিত খবর-

লাকসাম (কুমিলস্না) ও শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি জানান, কুমিলস্নার লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার হামিদের আকস্মিক বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ ফটকের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, লাকসাম উপজেলা ওই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। এ সময় ছাত্র প্রতিনিধি মেজবাহ উদ্দিন সিয়াম, আব্দুল কাইয়ুম রিফাত, মিনহাজুল ইসলাম, মতিউর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা আবুল কাশেম, জাহিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, লাকসাম ইউএনও কাউছার হামিদ গত ৩১ অক্টোবর ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় হতে বদলি হয়ে ইউএনও হিসেবে প্রথম যোগদান করেন লাকসামে। যোগদানের মাত্র দুই মাসে প্রশাসনিক কর্মকান্ডে তিনি লাকসামকে অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি ও শোষণ মুক্ত করে সুন্দর একটি উপজেলা বিনির্মাণে কাজ শুরু করেছেন। যোগদানের মাত্র দুই মাসের মধ্যে তাকে বদলি করায় এর প্রতিবাদে এবং বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ছাত্ররা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি জানান, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন স্থানীয় লোকজন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পদ্মা নদী থেকে কয়েকজন প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বালু তুলছেন। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন এই এলাকার নদী পাড়ের মানুষ। বালু উত্তোলনের কারণে নদী পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় দিনের পর দিন নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, বসত ঘর। নদী পাড়ের এসব গ্রামকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে পদ্মা থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করার দাবি জানান তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়ন সাবেক মেম্বার তোতা মিয়া হাওলাদার, সাবেক মেম্বার লতিফ খান, সাবেক মেম্বার মাহমুদ ফকির, কালা মিয়া হাওলাদার, হিরুন চৌকিদার, মান্নান মুন্সি প্রমুখ।

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় নাছরীন নবী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিতর্কিত সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী ইকবালের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানের বৃহস্পতিবার পৌর মুক্ত মঞ্চের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনের ছাত্ররা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক কাজী মো. ইকবাল বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন দলীয় কর্মকান্ডে অংশ নিয়েছেন। জোর পূর্বক শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করতেন। তিনি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে জিম্মি করে রাখতেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মুরাদ হোসেনের পক্ষে একাধিক নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখে নিশাত খান, শাওন, রোবায়েত, সাদমান, ওমর প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে আখাউড়া ইউএনও বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।