কুড়িগ্রামের রাজারহাটে গরু মোটা তাজাকরণে মাত্রাতিরিক্ত দানাদার খাদ্য খাওয়ানোর ফলে এক খামারীর ৯টি বলদ গরুর বাছুর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। সেই খামারি পরবর্তীতে অসুস্থ গরু জবাই করে এলাকাবাসীর মধ্যে মাংস ভাগ করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে প্রায় ৫লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করছেন এলাকাবাসী। তবে গরু হারিয়ে ওই খামারী শোকাহত হয়ে পড়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের পীরমামুদ গ্রামের আ. হাকিমের মেয়ে সাথী বেগম খামারে দীর্ঘদিন ধরে গরু মোটাতাজাকরণ করে বিক্রির মাধমে লাভবান হচ্ছিলেন। ঘটনার দিন গত শুক্রবার দুপুরে ৯টি বলদ বাছুরকে গরু মোটাতাজাকরণ ওষুধ ও দানাদার ইউনিয়া সার মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করায় অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয় প্রাণি বিষয়ক এক চিকিৎসক খামারে এসে গরুগুলোকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। অবস্থা বেগতিক দেখে খামারের মালিক একে একে ৯টি বাছুরকে জবাই করেন। পরে এলাকাবাসীর মধ্যে জবাই করা গরুর মাংস বিতরণ করেন।
খামারের মালিকের বাবা আ. হাকিম বলেন, 'গরুগুলো অসুস্থ হয়নি। গরু মোটাতাজাকরণে দানাদার জাতীয় খাবার দেওয়ার পর গরুগুলোর পেট ফুলে যায় এবং ঠান্ডায় কাঁপছিল। যেহেতু এখন শৈতপ্রবাহ চলছে, সে কারণে আমার মেয়ে ভয় পেয়ে যায়। তাই একমণ ওজনের ৯টি গরু জবাই করে মাংস এলাকায় দেওয়া হয়েছে।'
এ ব্যাপারে উপজেলা স্যানেটারী ইনসপেক্টর আ. লতিফ বলেন, কীটনাশক জাতীয় খাবার খেয়ে গরু যেহেতু অসুস্থ হয়ে পড়েছে, সেগুলোর মাংস না খাওয়াই উত্তম।