শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চৌগাছায় সরকারিগুদামে ধান-চাল সংগ্রহে ভাটা

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
  ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
আপডেট  : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৩১
চৌগাছায় সরকারিগুদামে ধান-চাল সংগ্রহে ভাটা

যশোরের চৌগাছায় চলতি আমন মৌসুমে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান চাল সংগ্রহে ভাটা। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর সারাদেশে একযোগে আমন ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাদ্য উপদেষ্টা। তবে এ কার্যক্রমে কৃষক ও মিলারদেরও সাড়া মেলেনি মোটেও। উদ্বোধনের পর গুদামে মিলারদের দেওয়া চাল কিছুটা এলেও ধান পড়েনি এক দানাও। গত দেড় মাসে গুদামে ধান আসেনি। মিলারদের কাছ থেকে ২২ টন চাল এসেছে বলে জানান উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান।

উপজেলা খাদ্য গুদাম সূত্রে জানা যায়, ১৭ নভেম্বর চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন করা হয়েছে, যা শেষ হবে আগামী ২৮ ফেব্রম্নয়ারী ২০২৫। খাদ্যগুদামে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পৌর এলাকার কৃষকের কাছে সরাসরি প্রতিকেজি ধান ৩৩ টাকা দরে কেনা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে আমনধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ২৪৩ মেট্রিকটন নির্ধারণ হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় অর্ধেক শেষ হলেও এ পর্যন্ত এক দানা ধানও পড়েনি সরকারি খাদ্য গুদামে।

1

অন্যদিকে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৮৫ মেট্রিক টন। এ পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ২২ টন, যা লক্ষ্যমাত্রার ৫ শতাংশ। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বর্তমানে চিকন ধান প্রতি কেজি ৩৭.৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মোটা জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩৫ টাকায়।

উপজেলার সিংহঝুলী ইউনিয়নের গরীবপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম, আরজান আলী, পিতাম্বরপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান, স্থানীয় বাজারে যে দামে ধান বিক্রি হচ্ছে, গুদামে সেটা দেওয়া হচ্ছে না, গুদামের চাইতে স্থানীয় বাজারে মণপ্রতি ধানের দাম কমপক্ষে ২শ' থেকে ৩শ' টাকা বেশি। তাছাড়া সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। যে কারণে বাইরে কৃষকরা ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন।

মিলমালিকরা জানান, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে খোলাবাজারে চালের দাম বেশি হওয়ার ফলে খাদ্যগুদামে চাল দিতে মিলারদেরও তেমন আগ্রহ নেই। বর্তমানে বাজারে ৬০-৬৫ টাকার নিচে কোনো চাল নেই। অথচ সরকারি গুদামে চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ টাকা। গুদামে চাল দিলে প্রতি কেজিতে ১৫-১৬ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, ধান-চাল ক্রয়ে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে খোলাবাজারে দাম কিছুটা বেশি। এদিকে সরকারি নীতিমালা অনুসারে গুদামজাত করা ধানের আদ্রতা ১৪ শতাংশের বেশি হলে সেই ধান কেনা যাবে না। সে কারণে কৃষকরা গুদামে ধান বিক্রি করতে চাচ্ছেন না।

চৌগাছা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ফাতেমা সুলতানা বলেন, 'সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ধান-চাল সংগ্রহর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে