নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল টিম গভীর রাতে বিশাল এক অভিযান পরিচালনা করেছে। পাহাড়ি মাটি খেকোদের পাকরাও করেছে সেনা সদস্যরা। বুধবার ভোররাত ১ টা ১৫মিনিটে এ-অভিযান সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. হারূন অর রশিদের নেতৃত্বে পরিচালনা করা হয়। এ সময় সেনাবাহিনী ২টি মাটি বহনকারী ১০চাকার ড্রামার ট্রাক, একটি মাটি কাটার এক্সেভেটর(বেকু) ৪জন মাটি কাটার শ্রমিককে আটক করে। আটকরা হলেন- ট্রাক চালক আ. হান্নান(৪০) আকরামুল আহসান (৩৫) ড্রাম ট্রাক হেলপার, আল আমীন(৩৬) ড্রাম ট্রাক ড্রাইভার, ট্রাক চালক মো. আ. করিম। বাকিরা সেনাবাহিনীর টহলটিম দেখে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে দিনারপুর পাহাড়ি এলাকায় গ্রাম কুড়াগ্রাম (মিয়াকান্দি) ১৩ নং পানি উমদা ইউনিয়ন পানিউমদা এলাকায় বনজ পাহাড় কেটে বিক্রি করার কারণে লালমাটি ও টিলা কাটার ধুম চলছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এসব টিলা কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল কিছু পাতিনেতা। খবর পেয়ে ঝটিকা অভিযান চালায় নবীগঞ্জের দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর টহল টীম।
সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ান্টে অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া টিলা কর্তন করিয়া জীব ও বৈচিত্রের ক্ষতি প্রকৃতির ভারসাম্যহানি ফসলের ক্ষতি বৃক্ষ রাজির ক্ষতি মাটির ভূ-গঠনের পরিবর্তন পাহাড়ের বাইডিং ক্যাপাসিটি নষ্ট করে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ সংশোধিত ২০১০ সালের আইন অনুযায়ী জব্দ করা হয়।