দৈনিক যায়যায়দিনে সংবাদ প্রকাশের পর সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার শূভগাছা ইউনিয়নের বয়রাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাবেক সভাপতিসহ স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ে 'শিক্ষক আছে, শিক্ষার্থী নাই' শিরোনামে দৈনিক যায় যায় দিন পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে সংবাদ ছাপা হয়। এতে করে শিক্ষকসহ স্থানীয়দের টনক নড়ে। এমতবস্তায় ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শাহিন আক্তার টুটুল এবং বর্তমান প্রধান শিক্ষকের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে বিদ্যালয়ে শূন্য থেকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ জনে বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা হয়। তাদের মধ্যে বাগগারী গ্রামের আবুল হোসেন জানান, 'যমুনার ভাঙনে শূভগাছার বিদ্যালয়গুলো পাশাপাশি অবস্থান হওয়ায় এমনিতেই ছাত্র-ছাত্রী সংকট। তার উপর এই বিদ্যালয়ে দির্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ছিল না। ফলে সভাপতি শতচেষ্টা করেও শিক্ষার্থীবাড়াতে সক্ষম হননি। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক আসার পর বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শাহিন আক্তার টুটুল ছাত্র-ছাত্রী পরিবহণে গাড়ি দিয়েছেন। এতে করে আমাদের সন্তানদের আবার এই বিদ্যালয়ে দিয়েছি।' অভিভাবক আমনমিহারের বাদল সরকার জানান, আগে পুরুষ প্রধান শিক্ষক ছিল না। এখন প্রধান শিক্ষক ও ইউপি সদস্য জাহাঙ্গির আলমের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।