মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রায়গঞ্জে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি হচ্ছে ইট ভাটায়

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
রায়গঞ্জে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি হচ্ছে ইট ভাটায়
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে রাতের আধারে তিন ফসলি আবাদি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করছে একটি মাটিখেকো চক্র -যাযাদি

সিরাজগঞ্জে রাতের আধারে তিন ফসলি আবাদি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করছে একটি মাটি খেকো চক্র। জমির এই উর্বর মাটি বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন ইট ভাটায়। এতে ওই এলাকার প্রায় ৩ শতাধিক বিঘা জমির মালিকরা তাদের জমিতে পরবর্তীতে আবাদ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

জানা যায়, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের কৃষ্ণদিয়া মৌজার কৃষ্ণদিয়া গ্রামের মাছপাড়ার সুরুজ্জামান মাস্টার, তার ভাই তুজাম ও তালেব মিলে তিন ফসলি প্রায় চার বিঘা আবাদি জমি রাতের আধারে ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে বেআইনীভাবে পুকুর খনন করছে। সেই পুকুর খননের উর্বর মাটি নিয়ে শাহাদত, আলামিন, বিপস্নবসহ একটি মাটি খেকো চক্র ওই এলাকার জেনিন, সুরমা, এইচএসবি ও ক্লাসিক ভাটাসহ বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করছে। এতে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে অপরদিকে আশেপাশের আবাদী জমিগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। ওই এলাকার মতিন ভূইয়া নামের এক কৃষক অভিযোগ করে বলেন,পুকুর খননের আশেপাশে আমারসহ অনেকের প্রায় ৩ শতাধিক বিঘা আবাদী জমি রয়েছে। এই জমিগুলো এখন আবাদের জন্য হুমকি হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, শাহাদত, আলামিন, বিপস্নবসহ একটি মাটি খেকো চক্র তাদের স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকার জমির মালিকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তিন ফসলি ভালো ভালো জমিগুলো ভেকু মেশিন দিয়ে রাতের আধারে কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। এতে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে ওই মাটি খেকো চক্রটি হুমকি ধামকিসহ বিভিন্ন ভয়ভীািত দেখায়। যার কারনে কেউ তাদের এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।

1

এবিষয়ে মাটি খেকো চক্রের শাহাদত ও আল-আমিন বলেন, আমরা ১৪ লাখ টাকা দিয়ে ওই জমিটির মাটি কিনে নিয়েছি এবং স্থানীয় ভূমি অফিসের সাথে কথা বলে তাদের অনুমতি নিয়ে কেটে পুকুর খনন করা হচ্ছে। তবে পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ভূমি অফিসের নায়েব আব্দুর রশিদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের কোন অনুমতি না নিয়ে ও জমির শ্রেনী পরিবর্তন না করেই তারা অবৈধভাবে পুকুর খনন করছে বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। তবে এবিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাদিজা খাতুনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এব্যাপারে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে