মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

করম আলী মার্কেটের মালিকের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি
  ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
করম আলী মার্কেটের মালিকের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থিত কমর আলী মার্কেটের মালিক মো. কমর আলীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেছে একই এলাকার একটি দলভুক্ত লোকজন। এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে ভুক্তভোগী।

ভুক্তভোগী জানান- মো. আবু সাইদ শিপন (৪৫), পিতা- মোস্তফা মো. শাহাদাত (৬০), পিতা- নবিউলস্নাহ; হাজী আমির হোসেন (৫৭), পিতা- ওজিউলস্নাহ; মোহাম্মদ খোকন আহমেদ (৪৫), পিতা- আবু ইউসুফ সিরাজুল ইসলাম ওরফে কানা সিরাজ (৪৮), পিতা- নুর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (৬০), পিতা- পেয়ার আহম্মেদ বাবুল মোলস্না (৪৫), পিতা- বাদশা মোলস্না এবং আরও ২০০ থেকে ২৫০ জন লোক মিলে চাঁদা দাবি করেছেন আসছে।

1

তিনি আরও বলেন, 'কমর আলী মার্কেটের প্রতিষ্ঠাতা ও মালিক আমি। সেই হিসেবে মার্কেটের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যাবতীয় দেখাশোনা ও ভাড়া আমি সংগ্রহ করি। কিন্তু গত আগস্ট মাসে সরকারের পতনের পর থেকে উপরোক্ত আবু সাইদ শিপন, মো. শাহাদাত হোসেন, হাজী আমির হোসেন, মোহাম্মদ খোকন, সিরাজুল ইসলাম ওরফে কানা সিরাজ রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আমার মালিকানাধীন মার্কেটে প্রবেশ করে চাঁদা দাবি করেছে। বিভিন্ন সময় আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেছে এবং তারা আমার কাছ থেকে প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। আমি চাঁদা প্রদানে রাজি না হলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়। গত বৃহস্পতিবার উলেস্নখিত ব্যক্তিবর্গসহ আরও ২০০ থেকে ২৫০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে আমার মার্কেটে হামলা চালিয়েছে। তারা মার্কেটের সকল দোকানদারকে অস্ত্র ঠেকিয়ে বের করে দেয় এবং প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর করে। অফিসে রাখা বিদু্যৎ বিল পরিশোধের জন্য জমা রাখা নগদ টাকা, সিসিটিভি ক্যামেরার প্রধান ডিভাইস, হার্ডডিস্ক, মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এমন কি 'তারা আমার মার্কেটের ২৫টি দোকান থেকে নগদ টাকা ও বিভিন্ন মালামাল লুট করেছে। কমর আলীর ভাষ্যমতে উলেস্নখিত ব্যক্তিদের মধ্যে মো. শাহাদাত হোসেন (৬০), পিতা- নবিউলস্নাহ নিজেকে পুলিশ হিসেবে পরিচয় দেন। তবে তিনি প্রকৃতপক্ষে পুলিশ নন। এই পরিচয়ের মাধ্যমে তিনি তার ছেলেকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা দাবি করেন এবং হামলা চালান।

এই ব্যাপারে মো. শাহাদাত হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর আর কথা বলেননি। তার পর তাকে একাধিকবার কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এই বিষয়টি কোর্টের বিষয়। কোর্ট এই ব্যাপারে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা তথা স্থিতি বজায় রাখার আদেশ বহাল রেখেছে। যদি কেউ কোর্টের আদেশ অমান্য করে, তাহলে ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে