বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ফেরত যাচ্ছে ডুমুরিয়ার মুজিব কিলস্না নির্মাণের সাড়ে ১২ কোটি টাকা!

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি
  ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
ফেরত যাচ্ছে ডুমুরিয়ার মুজিব কিলস্না নির্মাণের সাড়ে ১২ কোটি টাকা!

খুলনার ডুমুরিয়ায় বরাদ্দকৃত ৩টি মুজিব কিলস্না হচ্ছে না। যার ফলে ফেরত যাচ্ছে বরাদ্দের প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। মুজিব কিলস্নাসমূহের স্থানে নদী ভাঙ্গন, জনবসতীহীন ও অসামাজিক কর্মকান্ডের সম্ভাবনা থাকায় এ প্রকল্পগুলো বাতিল করা হয়েছে। মুজিব কিলস্না নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক মোঃ মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে এতথ্য জানানো হয়েছে।

জানা যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মানুষ ও গবাদিপশু রক্ষায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে মুজিব কিলস্না নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে ডুমুরিয়া উপজেলায় ৩টি মুজিব কিলস্না নির্মাণে ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৯১ হাজার ৯১০ টাকা বরাদ্দ হয়। এরমধ্যে মাগুরখালী ইউনিয়নের শিবনগর খেয়াঘাটের দক্ষিণপাশে মুজিব কিলস্না নির্মাণে চুক্তিমূল্য ৬ কোটি ৯৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫৩৭ টাকা। ২০২৪ সালের ১৮ মার্চ তারিখে এ প্রকল্পের কাজ শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গড়িমসিতে অদ্যাবদি কাজটি হয়নি। পরবর্তিতে ২০২৪ সালের ২৪ অক্টোবর প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোঃ আব্দুলস্নাহেল কাফি'র নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম ডুমুরিয়ায় অনুমোদিত মুজিব কিলস্না নির্মাণ প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, শিবনগর খেয়াঘাটের দক্ষিণপাশে মুজিব কিলস্না নির্মাণ প্রকল্পটি নদীর তীরবর্তী এবং ব্রীজের মুখে হওয়ায় ভবিষ্যতে ভাঙ্গনের সম্ভাবনা রয়েছে।

1

এছাড়া শরাফপুর ইউনিয়নে আসাননগর মৌজায় ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬০৮ টাকা বরাদ্দের মুজিব কিলস্না নির্মাণ প্রকল্পটি জনবসতীহীন একটি বিচ্ছিন্ন স্থান। প্রকল্পটির চারিদিকে ২ থেকে ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত কোন জনবসত/গ্রাম নাই এবং মাছের ঘের এলাকায় অবস্থিত। প্রস্তাবিত স্থানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ব্যহত হবে। এমনকি বিভিন্ন ধরণের অসামাজিক কর্মকান্ডের আশ্রয়স্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মর্মে প্রতিবেদনে উলেস্নখ করা হয়। অপরদিকে ২ কোটি ৪৩ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৫ টাকা ব্যয়ে শরাফপুর ইউনিয়নে তৈয়বপুর গ্রামে মালোপাড়ায় মুজিব কিলস্না নির্মাণ প্রকল্পটিও বালিত করা হয়। প্রতিবেদনে নদীর তীরবর্তী হওয়ায় ভাঙ্গনের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুলস্নাহ বায়েজিদ জানান, ডুমুরিয়ায় ৩টি অনুমোদিত মুজিব কিলস্না নির্মাণ প্রকল্পের স্থানে নদী ভাঙনের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া উপজেলা হতে এমন স্থান নির্বাচন হওয়া উচিত যেনো প্রকল্প সারাবছর ব্যবহার উপযোগি হয় এবং যাতে দুর্যোগকালীন সময় জনসাধারণ ব্যবহার করতে পারেন। তবে পরবর্তী স্থান নির্বাচনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে