সরকারী নিষেধাক্ষা উপেক্ষা করে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের যমুনা নদী থেকে অবাধে জাটকা নিধন চলছে। তবে জাটকা নিধন বন্ধে প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই।
অভিযোগ রয়েছে, কতিপয় মৎস্যজীবী সরকারি নিষেধাক্ষা না মেনে মৎস্য অফিসের ছত্রছায়ায় দিনরাত সমান তালে কাজিপুরের যমুনার বিভিন্ন পয়েন্ট বিশেষ করে সদর ইউনিয়নের বগার মোড় থেকে জাটকা শিকার করছে। জাটকা শিকারের ক্ষেত্রে মস্যজীবীরা চেলি বেড়জাল, কারেন্ট জাল ও কোনাজাল ব্যবহার করে থাকেন। জাটকা শিকারের বিষয়ে কোনো রকম রাকঢাক না করেই প্রতিদিন শতশত কেজি জাটকা আহরণ ও স্থানীয় বাজারে প্রকাশ্যেই বেচাকেনা করে থাকে।
এ ক্ষেত্রে মস্যজীবীরা তেমন কোন ভয়ডর করে বলে প্রতিয়মান হয় না। জাটকা ধরার ক্ষেত্রে স্থানীয় মৎস্য অফিসের কিছু অবৈধ কর্মচারীর সঙ্গে মৎস্যজীবীদের জোগসাজস থাকতে পারে বলে মনে করছে সচেতন মহল।
মৎস্যজীবীদের সূত্রে জানা যায়, গত প্রায় ১০ বছরের মধ্যে এবারেই যমুনায় সর্বোচ্চ জাটকা ধরা পড়ছে। কারণ হিসেবে সাগর মহনায় জাটকা ধরার ক্ষেত্রে প্রশাসনের ব্যাপক কঠোর হস্তক্ষেপে ইলিশের প্রজনন বেড়ে যাওয়া ও সাগরে জাটকা ধরা না পড়ায় মাছগুলি নদী বেয়ে উজানে উঠে এসেছে।তাই মিঠে পানির নদ নদীতে ইলিশের পোনা (জাটকা) বৃদ্ধি পেয়েছে। মৎস্যজীবীদের ধারনা যদি অবৈধভাবে জাটকা ধরা না পড়ত তবে এ বছর যমুনায় ব্যপকভাবে ইলিশ মাছের উৎপাদন হত।
এ বিষয়ে স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ জানান, 'আমাদের অফিসে জনবল একেবারেই কম। তারপরেও মাঝেমধ্যেই যমুনায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।'
অপরদিকে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সিংহভাগ জাটকা ধরা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।