কক্সবাজারে ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া ১০ মরদেহের মধ্যে শনাক্ত ছয়জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার রাতে মহেশখালী এবং চকোরিয়ায় পৃথক জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. শাহিন ইমরান ও পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান এর আগে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে নিহতদের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন। এরা হলেন- মহেশখালীর শামসুল আলম, শওকত উলস্নাহ, মো. গনি ওসমান, নুরুল কবির, চকরিয়ার মো. তারেক ও মো. শাহজাহান। বাকি চারজনের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে সিআইডি।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, 'এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে। নিহতদের মধ্যে শনাক্ত হওয়া ছয়জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বাকি চারজনের পরিচয় শনাক্তে সিআইডি কাজ করছে।'
প্রসঙ্গত, ২৩ এপ্রিল দুপুরে বঙ্গোপসাগর থেকে কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টে টেনে আনা একটি ট্রলার থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নামহীন ওই ট্রলারের মালিক মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ছনখোলাপাড়ার রফিক উলস্নাহর ছেলে শামসুল আলম।
জেলেরা জানান, 'সাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে ট্রলারটির কিছু অংশ ডুবে ছিল। পরে অন্য একটি ট্রলারের সাহায্যে ওই ট্রলারটিকে শনিবার সন্ধ্যায় নাজিরারটেকে নিয়ে আসা হয়। ভাটার পর রোববার সকালে ট্রলারটির ভেতরে মানুষের হাত-পা দেখা যায়। তখনই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপর ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতায় ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহগুলো অর্ধগলিত হওয়ায় কাউকে ভালোভাবে চেনা যায়নি। তবে অনেকের হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল।