রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
সংবাদ ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের

বিএনপি আন্দোলন করার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন -ফোকাস বাংলা

নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহণ এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যে পরিবর্তন হয়েছে সেটা গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে হয়েছে। সরকারের পরিবর্তন চাইলে বিএনপিকে আরেকটা নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি নেতারা আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা কর্মীদের আশা দিয়ে মাঠে নামিয়েছিল, এখন কর্মীরা হতাশ। তারা নেতাদের ডাকে আন্দোলন করার মতো অবস্থায় নেই। এক কথায় বলবো, বিএনপি এখন আন্দোলন করার সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছে।

তিনি আরও বলেন, জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই, বিএনপি জনগণের আন্দোলনে নেই, জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থাশীল। তার সততা, নেতৃত্ব এদেশের মানুষ মেনে নিয়েছে। পঁচাত্তরের পর দেশে সৎ, পরিশ্রমী, দক্ষ একজন নেতাও জন্ম হয়নি। দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন। সরকার পরিবর্তনের দিবা স্বপ্নে নিয়মিত অবাস্তব কথার ঘুড়ি উড়ায় বিএনপি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিব্রতকর কোনো বক্তব্য যে-ই দেবেন দায়িত্বশীল যারা, তাদের দায়িত্ব নিয়েই কথা বলা সমীচীন। সরকারের জন্য বিব্রতকর এমন বক্তব্য থেকে আমাদের সব দায়িত্বশীলদের বিরত থাকা উচিত।

'টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি সরকার। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি নাকি ব্যর্থ?' এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'ব্যর্থও না, জিম্মিও না। দেশটা অনেকের চেয়ে ভালো চলছে। সারা বিশ্বের যে অবস্থা, আজকে শুধু ডলারের দাম না.... সারা বিশ্বের যে টালমাটাল অবস্থা, আমি বার বার আপনাদের বলতে চেয়েছি সারা বিশ্বেই সমস্যা চলছে। বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয় যেখানে আমরা আপনাদের খুব সুখে-শান্তিতে রাখতে পারব। অন্যেরা ভালো নেই, আমরাও ভালো নেই। সবাই একযোগে ভালো থাকার চেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবেও চলছে।'

পরিবহণের চাঁদাবাজির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'পরিবহণের চাঁদাবাজি সারা জনম ধরে চলে আসছে। এটা নতুন নয়। তবে এ চাঁদাবাজিটা বন্ধ করার জন্য চেষ্টা চলছে। আইন প্রয়োগকারী লোকজনও তৎপর। প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাই কাজ করে যাচ্ছে। যাতে করে এ চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। একেবারে বন্ধ করা যাবে এ কথা আমি বলব না। এই কালচারটা হাঠাৎ করে বন্ধ করা যাবে না। নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।'

বাংলাদেশে পরিবহণের চাঁদাবাজি কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আপনি কি বাংলাদেশকে আলাদা একটি স্বর্গরাজ্য ভাবেন?'

ড. ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে একজন কংগ্রেসম্যান যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে

জানিয়েছেন, সে বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও নিবিঢ় করার চেষ্টা চলছে। ড. ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে এ মর্মে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসম্যান। বলা হচ্ছে তার এমন মন্তব্য সম্পর্কে প্রভাব পড়বে, কেন প্রভাব পড়বে? আমার দেশের আইন, আমার দেশের বিচার ব্যবস্থায় কোনো ব্যক্তি যদি তার কৃতকর্মের জন্য শাস্তির মুখোমুখি হয়, বিচারের মুখোমুখি হয় সে অবস্থায় আমার দেশের বিচার ব্যবস্থার যে স্বাধীনতা সে স্বাধীনতার উপর বাইরের কারো তো কোন কিছু বলার অধিকার থাকতে পারে না।'

তিনি আরও বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের ওপর এতগুলো চার্জ এনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। সেখানে ২০১৩ সাল থেকে মামলায় হাজির দিচ্ছেন তিনি। তো সেখানে রেজাল্ট কী হবে, রায় ঘোষণার আগে তো আমরা বলতে পারছি না। সেখানে সংক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সে মামলা চলছে। তাহলে এর মধ্যে বিচার ব্যবস্থা বন্ধুত্বের মধ্যে সম্পর্ক কী?'

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপস্নব বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে