বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রেকি করে ফাঁকা বাসায় চুরি

যাযাদি রিপোর্ট
  ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
গ্রেপ্তার চোর চক্রের সাত সদস্য -যাযাদি

রাজধানীর ইসলামবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পেশাদার চোর চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগ। রোববার লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাহাবুব উজ জামান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, শনিবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. মিরাজ হোসেন (৩৫), মো. মামুন (৩৪), মো. সায়মুন (৩০), অমিত হাসান ইয়াসিন (২১), বরুণ (৫০), হাসিনা বেগম (৫২) ও জামিলা খাতুন হ্যাপি (১৮)।

গ্রেপ্তার প্রথম চারজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪৭টি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে শুধু গ্রেপ্তার মামুনের বিরুদ্ধেই ২২টি মামলা রয়েছে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে স্বর্ণের একটি আংটি, তিনটি রুপার পায়েল, একটি রিয়েলমি স্মার্ট ফোন, একটি স্বর্ণের নাক ফুল ও তিন ভরি গলানো স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।

গত ৯ এপ্রিল রাজধানীর পূর্ব ইসলামবাগের বাসিন্দা মো. হাফিজুল ইসলাম পরিবার নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়ি যান। ঈদ শেষে ১২ এপ্রিল এসে দেখেন বাসার মূল গেটের লক ভাঙা। পরে হাফিজুল বাড়ির মালিককে নিয়ে বাসার মধ্যে প্রবেশ করে দেখেন সব কক্ষের আসবাবপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

তিনি নিজের বেডরুমে গিয়ে দেখেন স্টিলের আলমারি ভেঙে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার, ৪০০ ইউএস ডলার, একটি স্মার্ট ফোন চুরি হয়েছে। পরে হাফিজুর বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর বাসার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চোরদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিসি মাহাবুব বলেন, 'গ্রেপ্তাররা ইসলামবাগের বাসাটিতে চুরি করার আগেও কেরানীগঞ্জের দুটি বাসায় চুরি করেছেন। চুরি করার পর চক্রটি তাঁতিবাজারে গিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বরুণের কাছে স্বর্ণ বিক্রি করে দেয়। পরে বরুণ এই স্বর্ণ গলিয়ে ফেলেন, আমরা তাকেও গ্রেপ্তার করেছি এবং গলানো স্বর্ণ উদ্ধার করেছি।'

তিনি আরও বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকেই গ্রামের বাড়ি চলে যান। আর এই ফাঁকা ঢাকায় বাসা-বাড়িতে চুরি করার জন্য চক্রটি তৎপর হয়ে ওঠে। প্রথমে তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দলবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন বাসা-বাড়ি রেকি করেন। রেকি করা শেষ হলে তারা তাদের পছন্দ মতো একটি বাসা ঠিক করে সেখানে চুরি করেন। তাদের টার্গেটে থাকে স্বর্ণালংকার ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস।

গ্রেপ্তার জামিলা খাতুন হ্যাপির বাসা এই চক্রের গোপন আস্তানা। সেখানে বসে চক্রটি চুরি করার পরিকল্পনা করে। চুরির পর তারা হ্যাপির বাসায় কিছুদিন আত্মগোপনে থাকেন। ঈদের এক-দেড় মাস আগে জামিনে বের হয়ে তারা আবার ঈদে ফাঁকা ঢাকায় চুরি শুরু করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে