ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ, দখলদারির অবসান ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ করেছেন ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে এই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল বিভিন্ন বামপন্থি ছাত্রসংগঠন। কর্মসূচি পালনের জন্য ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশে রওনা দিলে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বাধা দেয় পুলিশ। পরে ছাত্র-জনতা উত্তর বাড্ডার প্রগতি সরণির জামালপুর টুইন টাওয়ারের বিপরীতে রাস্তায় কর্মসূচি পালন করে। মিছিল-সমাবেশের কারণে প্রায় এক ঘণ্টা সড়কের এক পাশে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উত্তর বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে অগ্রসর হতে থাকেন ছাত্র জনতা। তখন মিছিলের কারণে রাস্তায় থাকা যানবাহনগুলো আটকে পড়ে।
আধা কিলোমিটার সামনে জামালপুর টুইন টাওয়ারের উল্টো পাশের সড়কে আগেই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাখে পুলিশ। মিছিলটি সেখানে এসে থেমে যায়। একপর্যায়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন ছাত্র-জনতা।
সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, এই কর্মসূচির প্রতি তিনি সংহতি জানাচ্ছেন। ঢাকার মার্কিন দূতাবাসকে তিনি পরিষ্কার বলতে চান, ফিলিস্তিনের গাজায় যে গণহত্যা চলছে, তা চলতে দেওয়া হলে পুরো মানবসভ্যতা ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রকে বলতে চান, ইসরাইলকে গণহত্যার জন্য সহায়তা বন্ধ করুন। ফিলিস্তিনকে মুক্ত করুন।
সমাবেশে উপস্থিত থেকে সংহতি জানান অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, সঙ্গীতশিল্পী সায়ান, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আক্তার, ছাত্রলীগ জেএসডির সভাপতি তৌফিকুজ্জামান, বাসদ মার্ক্সবাদীর কেন্দ্রীয় সদস্য জয়দেব ভট্টাচার্যসহ বামপন্থি বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা।