রোববার, ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
গাজীপুরে শ্রমিক আন্দোলন

৩০ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, দীর্ঘ যানজট

বিকল্প পথে যান চলার নির্দেশনা পুলিশের
গাজীপুর প্রতিনিধি
  ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
৩০ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, দীর্ঘ যানজট

বকেয়া বেতনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রায় ৩০ ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকার টিএনজেড গ্রম্নপের শ্রমিকরা। অবরোধের কারণে মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২০ কিলোমিটারের মতো যানজট। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঢাকা, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতকারী যাত্রীরা।

তবে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে বিকল্প সড়ক ব্যবহারে অনুরোধ করে একটি ট্রাফিক আপডেট দেওয়া হয়েছে। ওই আপডেটে বলা হয়েছে, সম্মানিত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ব্যবহারকারী যাত্রীদের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কর্তৃক ভোগড়া বাইপাস ও মালেকের বাড়ির মাঝামাঝি কলম্বিয়া গার্মেন্টসের সামনে গতকাল সকালে শুরু করা মহাসড়ক অবরোধ এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে বিধায় সম্মানিত যাত্রীকে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ইব্রাহিম খান বলেন, আমরা শনিবার আন্দোলনের শুরু থেকেই গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের আমাদের ক্রাইম ডিভিশন, ট্রাফিক ডিভিশন, আমাদের শিল্প পুলিশ ও যৌথ বাহিনী সবাই মিলেই কলম্বিয়া গার্মেন্টসের সামনে টিএনজেড-এর শ্রমিক ভাইয়েরা যে অবরোধ করে রেখেছে, আমরা তাদের বারবার বলেছি রাস্তাটা ছেড়ে দিয়ে সরে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারা যে বেতন পাচ্ছে না, এটার দাবিতে তারা অবস্থান নিয়েছে। আমরা মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। মালিকপক্ষ গত মঙ্গলবার বলেছিল, বৃহস্পতিবার তাদের সেলারি দিবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার দেয়নি। আমরা বারবার তাদের অনুরোধ করছি যে মহাসড়ক ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কারণ ঢাকা-ময়মনসিংহমুখী যে মহাসড়ক আছে এখানে প্রচুর লোক যাতায়াত করে। এছাড়াও শিল্প অধু্যষিত এলাকা।

তো আমরা যেটা করছি, ময়মনসিংহ থেকে বা টাঙ্গাইল থেকে যে গাড়িগুলো আসছে সেগুলোকে আমরা ভোগড়া থেকে ডাইভারসন দিচ্ছি। ঢাকা বাইপাস হয়ে কাঞ্চন ব্রিজ হয়ে বা তিনশ' ফিট হয়ে যাতে ঢাকায় যেতে পারে।

অপরদিকে, ঢাকা থেকে যেগুলো ময়মনসিংহমুখী গাড়িগুলোকে স্টেশন রোড হয়ে মিরের বাজার হয়ে ওদিক দিয়ে ঢাকা বাইপাস হয়ে তারা আসতে পারে। কিন্তু এতই বেশি গাড়ির চাপ দুই দিকেই যানজট তৈরি হয়েছে। যারা রাস্তাগুলো ভেতরে ভেতরে চিনে তারা ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি তাদেরকে বোঝানোর। যৌথ বাহিনীসহ আমরা সবাই মিলে আমরা চেষ্টা করছি, তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করছি তারা যেন মহাসড়ক যেন ছেড়ে মালিকের সঙ্গে কথা বলার জন্য। মালিকও তাদের আশ্বাস দিয়েছিল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেতন পরিশোধ করবে; কিন্তু তারা সেটা প্রতিপালন করতে পারেনি, পারছে না। এটা নিয়ে আমরা এখনো এসব বিষয় নিয়ে কথা বলে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি দ্রম্নত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে