সড়ক দুর্ঘটনায় চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ৪৬৯ জন নিহত ও ৮৩৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪১ দশমিক ৭৯ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন।
এ ছাড়া সেপ্টেম্বর মাসের চেয়ে অক্টোবরে প্রাণহানি বেড়েছে ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের মাসিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সকালে ও রাতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৩১টি দুর্ঘটনায় ১৪৪ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২২টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন।
রোববার সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, অক্টোবর মাসে প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছেন ১৫ দশমিক ১২ জন। তারা ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
অক্টোবরে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ৭৪ জন ও শিশু ৬৬টি। এ ছাড়া পেশাগত পরিচয়ে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছেন ৫৮ জন শিক্ষার্থী। এ সময়ে ২০৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯৬ জন নিহত হন। দুর্ঘটনায় ১০২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, অক্টোবরে চারটি নৌ দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। ২১টি রেল দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-টমটম) দুর্ঘটনায় ৯৪ জন নিহত হন। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে। এ ছাড়া দুর্ঘটনার ১৭১টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ও ১১২টি মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটেছে।
একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রামে ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম মাগুরা, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পঞ্চগড় জেলায়। এই চার জেলায় কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি ঘটেনি। এ ছাড়া রাজধানী ঢাকায় ২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত এবং ৩৪ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলেছে, ত্রম্নটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকের অদক্ষতা ও অসুস্থতা, ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সক্ষমতার ঘাটতি ও গণপরিবহণ খাতে চাঁদাবাজি। তারা আরও বলেছে, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে সড়ক পরিবহণ নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার করে প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।