পঞ্চগড়ে আগস্ট বিপস্নবে অংশ নেওয়া তরুণ রিকশাচালক আল আমিন (২১) নিখোঁজের ঘটনায় পঞ্চগড়ে সাবেক রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা করা হয়েছে। রোববার পঞ্চগড় সদর থানায় নিখোঁজ আল আমিনের বাবা মনু মিয়া বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।
মামলায় সাবেক রেলপথমন্ত্রী ছাড়াও পঞ্চগড়-১ আসনের আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাংসদ নাঈমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তা, সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পলস্নব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. নোমান হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাদিক পস্নাবন, পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম ও হাসনাত মো. হামিদুর রহমান, পঞ্চগড় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আল তারিক, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির উজ্জ্বলসহ ১৯ জনের নাম উলেস্নখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আল আমিনের (২১) বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলা দর্জিপাড়া গ্রামে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, পেশায় রিকশাচালক আল আমিন পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জুলাই-আগস্ট বিপস্নবে অংশ নিয়েছিলেন। ৫ আগস্ট সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে পঞ্চগড় চৌরঙ্গী মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেয় আল আমিন। দুপুরে দুইজনের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদমান সাদিক পাটোয়ারী পস্নাবনের বাড়ির সামনে তাকে আটক করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্দেশে তার ওপর হামলা করা হয়।