রোববার, ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
ভৈরবেও নির্মাণ হবে আন্তর্জাতিক মানের নৌবন্দর

আশুগঞ্জে কার্গো টার্মিনাল নির্মিত হলে প্রসার ঘটবে নৌবাণিজ্যের :উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আশুগঞ্জে কার্গো টার্মিনাল নির্মিত হলে প্রসার ঘটবে নৌবাণিজ্যের :উপদেষ্টা

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, 'কার্গো টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আশুগঞ্জ নৌবন্দরকে হাব হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। আগে এটি পরিপূর্ণ বন্দর ছিল না। টার্মিনালটি নির্মিত হলে নৌপথে বাণিজ্যের আরও প্রসার ঘটবে। এখানে সাইলোসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠান আছে। এটি বাংলাদেশের একটি হাব।'

সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে কার্গো টার্মিনালের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নৌবন্দরে নতুন কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ করছে বিআইডবিস্নউটিএ। নতুন এই টার্মিনালে ৩টি জেটি ও স্টোরেজ শেডসহ বিভিন্ন অবকাঠামো রয়েছে। আগামী বছর প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।'

তিনি বলেন, 'অনেকদিন থেকেই আশুগঞ্জে কার্গো টার্মিনাল করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হচ্ছিল। আরেকটি বিষয় হলো বিশ্বব্যাংক যখন অর্থায়ন করে, তখন তারা না দেখে করে না। তারা যদি মনে করে এটা লাভজনক, তখনই তারা অর্থায়ন করে।'

আশুগঞ্জ নৌবন্দরে কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ শেষ হলে বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন নৌ উপদেষ্টা।

এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে বিআইডবিস্নউটিএ'র চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফা, আশুগঞ্জ কার্গো টার্মিনাল প্রকল্পের পরিচালক আইয়ূব আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. জাবেদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ভৈরবে নির্মাণ হবে আন্তর্জাতিক মানের নৌবন্দর

এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় ভৈরব মেঘনা নদীর বন্দর পরিদর্শনে করেন নৌপরিবহণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। এসময় তিনি বলেন, 'কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নির্মাণ করা হবে আন্তর্জাতিক মানের নৌবন্দর। আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্য কাজ শেষ করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে। ভৈরব একটি পুরনো নদীবন্দর, তাই বন্দরের উন্নতির লক্ষ্যে এখানে ৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি টার্মিনাল জেটি নির্মাণ করা হবে।'

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিআইডবিস্নউটিএ'র চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আয়ূব আলী, ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিদওয়ান আহমেদ রাফি, ভৈরব পুলিশের সার্কেল এএসপি নাজমুস সাকিব প্রমুখ।

এম সাখায়েত হোসেন বলেন, 'বিশ্ব ব্যাংকের প্রজেক্টের মধ্য ভৈরব একটি বড় প্রজেক্ট ছিল যা আন্তর্জাতিকভাবে টেন্ডার হবে কয়েকদিনের মধ্যে। এখানে জেটির কাজ করতে গিয়ে নদীর পাড়ের দোকানদারদের মালিকানার সঠিক কাগজপত্র থাকলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং যাদের কাগজ নেই সেসব দোকানদের বিষয় বিবেচনা করা হবে।'

কাজটি করতে গিয়ে ভৈরববাসীর সাময়িক অসুবিধা হলেও তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেন, 'কাজটি আগামী বছর শেষ হলে এর সুফল ভোগ করবে ভৈরবের জনগণ। এতে এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতিসহ মালামাল ওঠানামা, লঞ্চ চলাচলে ঘাটে লঞ্চ ভিড়ানোসহ যাত্রীদের ওঠানামার অসুবিধা দূর হবে। এ ছাড়া আশুগঞ্জ পাড়েও ভারতীয় ঠিকাদারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক টার্মিনাল তৈরি হবে। এই টার্মিনালের কাজটি আগের সরকার টেন্ডার দিয়ে গেছে। টার্মিনাল ঘাটটি চালু হলে ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে ঘাটটি ব্যবহার করবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে