গাজীপুরের জয়দেবপুরে বিস্ফোরক আইনে করা আরেকটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ১০ বছর আগে করা এই মামলা থেকে একইসঙ্গে গাজীপুর মহানগর যুবদলের সদস্যসচিব মাহমুদ হাসান রাজুসহ বিএনপি-জামায়াতের ৬০ নেতাকর্মীও অব্যাহতি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ড. সহিদউজ্জামান।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক রেহেনা আক্তার তারেক রহমানসহ বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের অব্যাহতি দিয়ে এই রায় দিয়েছেন।
মামলার নথির বরাতে এই আইনজীবী বলেন, বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও নাশকতার অভিযোগ এনে ২০১৫ সালের ২১ ফেব্রম্নয়ারি তৎকালীন জয়দেবপুর থানার এসআই সৈয়দ আবুল হাসেম মামলাটি করেছিলেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, দেশব্যাপী অবরোধ চলাকালে বিএনপি-জামায়াত শিবিরের ৫০-৬০ জন নেতাকর্মী নাশকতার উদ্দেশ্যে তৎকালীন জয়দেবপুর থানার সাইনবোর্ড এলাকার কুলিয়ারচর গার্মেন্টসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করেন। এতে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।
মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও পরে অভিযোগপত্রে তারেক রহমানকে আসামি করা হয় জানিয়ে আইনজীবী সহিদউজ্জামান বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জাহিদ আহসান রাসেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উলস্না খানের পরামর্শে রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে এ মামলার অভিযোগপত্রে তারেক রহমানকে জড়ানো হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, এই মামলায় আটজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। দীর্ঘ ১০ বছর শুনানি শেষে বিচারক বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় করা তিনটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন তারেক রহমান।
এর আগে রোববার গাজীপুরের জয়দেবপুর থানা পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় তারেক রহমানসহ ৩২ জনকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছিলেন জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিশেষ ট্রাইবু্যনাল-৩ গাজীপুরের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন কাজী।
২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে তৎকালীন হোতাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন মনিপুরের খাসপাড়া এলাকায় একটি পার্কিং করা বাসে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছিল।
তার আগে ২০ নভেম্বর গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক পাভেল সুইট তারেক রহমানসহ ৬০ জনকে মানহানির একটি মামলা থেকে খালাস দিয়েছিলেন।
২০১৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মন্তব্য করার অভিযোগ এনে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তৎকালীন গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম দ্বীপ মামলাটি দায়ের করেন।