বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আবারও বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট

যাযাদি ডেস্ক
  ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আবারও বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট

দুই সপ্তাহ আগেই বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ-সংকট ছিল। এরপর সরকার ভোজ্যতেল আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) কমালে সরবরাহ কিছুটা বাড়ে। তবে তিন-চার দিন ধরে বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ আবার কমেছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে দু-তিনটি কোম্পানি ছাড়া অন্য কোনো ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আর যেসব ব্র্যান্ডের তেল পাওয়া যাচ্ছে তা-ও চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। বিশেষ করে এক ও দুই লিটারের বোতলের সরবরাহ একেবারেই কম। তবে বাজারে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের সরবরাহ ঠিক আছে; পণ্য দুটির দামও কিছুটা কমেছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে আগের সপ্তাহের তুলনায় খুচরা পর্যায়ে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৪-৫ টাকা ও পাম তেলের দাম ৩-৪ টাকা কমেছে। বর্তমানে এক লিটার খোলা সয়াবিন ১৬৫-১৬৮ টাকা এবং এক লিটার খোলা পাম তেল ১৫৭-১৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও এক মাস আগের তুলনায় খোলা পাম ও সয়াবিনের দাম এখনো বেশি।

সপ্তাহ দুই আগেও বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ-সংকট তৈরি হয়। পরে সরকার ভোজ্যতেল আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করে। পরে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো বোতলজাত তেলের সরবরাহ বাড়ায়। যদিও গত তিন-চার দিনে তা আবার কমেছে। এ বিষয়ে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শেওড়াপাড়া বাজারে বৃহস্পতিবার সয়াবিন তেল কিনতে আসেন গৃহিণী সুরাইয়া আক্তার। বাজারে চার দোকান ঘুরেও তিনি কোথাও বোতলজাত সয়াবিন পাননি। সুরাইয়া আক্তার বলেন, 'বাসায় সয়াবিন তেল একেবারে শেষ। গতকালও দোকানে এসে তেল পাইনি, আজও পেলাম না।'

সপ্তাহ দুই আগেও বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ-সংকট তৈরি হয়। পরে সরকার ভোজ্যতেল আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করে। পরে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো বোতলজাত তেলের সরবরাহ বাড়ায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে