দেশে গত একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুজনের প্রাণ গেছে, নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৭৮ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ৫৩১ জনের প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গু। আর হাসপাতালে ভর্তি রোগী বেড়ে দাঁড়াল ৯৬ হাজার ৭০৬ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সোমবার জানিয়েছে, গত একদিনে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়াদের একজন ঢাকা বিভাগের, আরেকজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
অপরদিকে নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে ২০০ জন, ঢাকা বিভাগে ৯৫ জন, ময়মনসিংহে ৭ জন, চট্টগ্রামে ৪১ জন, খুলনায় ৬০ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৩ জন, রংপুর বিভাগে চারজন, বরিশাল বিভাগে ৩৫ জন এবং সিলেট বিভাগে তিনজন ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২ হাজার ১১৩ জন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৮৮১ জন, আর ১ হাজার ২৩২ ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ বছর মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৫৮ হাজার ২১ জন ঢাকার বাইরের। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৮৫ জন।
চলতি বছর সবচেয়ে বেশি ৩০ হাজার ৮৭৯ রোগী ভর্তি হয়েছে অক্টোবর মাসে। ওই মাসে ১৩৫ জনের মৃতু্য হয়েছিল। এক মাসে সবচেয়ে বেশি মৃতু্য হয়েছে নভেম্বরে ১৭৩ জন। নভেম্বর মাসে ২৯ হাজার ৬৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
ডিসেম্বরের প্রথম ৯ দিনে ৫২৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, মৃতু্য হয়েছে ৪৩ জনের।
জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন, এর মধ্যে ১৪ জনের মৃতু্য হয়েছে। ফেব্রম্নয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩৩৯ জন, এর মধ্যে মৃতু্য হয়েছে তিনজনের। মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১১ জন; যাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃতু্য হয়েছে। এপ্রিল মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০৪ জন, এর মধ্যে মৃতু্য হয়েছে দুইজনের। মে মাসে ৬৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃতু্য হয়েছে ১২ জনের। জুন মাসে ৭৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃতু্য হয়েছে ৮ জনের।
জুলাই মাসে ২৬৬৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়, এর মধ্যে ১২ জনের মৃতু্য হয়। আগস্টে ৬৫২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, এর মধ্যে ২৭ জনের মৃতু্য হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃতু্যর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃতু্যও হয় ওই বছর।