চট্টগ্রাম নগরের কাঁচাবাজারগুলো শীতের নানা সবজিতে ভরপুর।অল্প টাকায় মিলছে ব্যাগভর্তি সবজি। অল্প টাকায় পছন্দের সবজি পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করছেন ভোক্তারা। তবে ক্রেতাদের অস্বস্তিতে ফেলছে মুরগি। গেল ৩ সপ্তাহে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) নগরের অক্সিজেন, আতুরার ডিপো, বহদ্দারহাট, চকবাজার, কর্ণফুলী কমপেস্নক্স, কাজীর দেউরিসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বাজারগুলোতে দেখা যায়, শিমের কেজি ২০ টাকা কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় নেমেছে। ফুলকপি ১৫ থেকে ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা আর প্রতি পিস লাউ ৩০ থেকে ৪০ টাকায় মিলছে এখন। পাকা টমেটোর কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মূলা ২০ টাকা আর শসার কেজি ৫০ টাকা। বারোমাসি সবজির মধ্যে কচুরমুখী ৭০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪৫ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং ঝিঙ্গা ও কাঁচামরিচ কেজি ৪০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ১০০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৫০ টাকা এবং মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
শাকের মধ্যে লাল শাক ১০ টাকা, লাউ শাক ২৫ টাকা, মূলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা ও ডাঁটা শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হয়েছে। কলমি শাক তিন আঁটি বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়।
নগরের অক্সিজেন এলাকার কাঁচা বাজারে সবজি কিনতে আসা মোশারফ হোসেন বলেন, বাজারে এখন সবজির দাম কমেছে। আগে কাঁচা বাজারে আসলে দাম শুনেই ভয় লাগত। এখন দেড়শ-দু'শ টাকার সবজি কিনলে মোটামুটি ব্যাগ পুরে যায়। কিন্তু এটা যেন অব্যাহত থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ছিল ১৯৫ টাকা, এখন ২১০। আর সোনালি মুরগি ৩৪০-৩৬০,দেশি মুরগি ৫৮০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩০০ টাকা ও সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া রাজহাঁস ৮০০ টাকা কেজি এবং দেশি হাঁস ৮০০ টাকা প্রতি পিস।
অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও ছাগলের মাংসের দাম। গরু ৭৩০-৯৫০ এবং খাসি ১০৫০-১১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারের উলটো চিত্র মাছের বাজারে। প্রায় সব ধরনের মাছের দামই কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজারে চাষের শিং মাছ আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই আকারভেদে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২২০ টাকায় ও বড় চিংড়ি ৭০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া বোয়াল মাছ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, চাষের কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, সামুদ্রিক পাঁচমিশালি মাছ ১৫০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। ৫০০ গ্রামের ইলিশ এক হাজার টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ১৫৫০ টাকা ও এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
মুদির দোকানে প্রতিকেজি মশুর ডাল (মোটা) ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, মশুর (মাঝারি) ১৩৫-১৪০ এবং মশুর (ছোট) ১৩০ থেকে ১৪০। মুগ ডাল (মানভেদে) ১৫০ থেকে ১৮০ এবং ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩৫ টাকায়। খোলা চিনি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি প্যাকেট চিনি ১২৫। লাল চিনি ১৪০ টাকা কেজি।
চালের দাম বেড়ে খোলা বাজারে কাটারি ৮২ টাকা, জিরাশাইল ৭৬ থেকে ৭৮, নাজিরশাইল ৮৫ থেকে ৮৬, মিনিকেট আতপ ৬৮, মিনিকেট সেদ্ধ ৬২ থেকে ৬৬, স্বর্ণা ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া আটা দুই কেজির প্যাকেট ১২৫ টাকা ও ময়দা ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খোলা সরিষার তেলের দাম ছিল প্রতি লিটার ১৯০ টাকা। দেশি রসুন ২৬০ টাকা, চায়না রসুন ২৪০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা এবং নতুন ভারতীয় আদা ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।