চট্টগ্রাম নগরের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নাম পরিবর্তন করে শহীদ ওয়াসিম উদ্দিনের নামে করা হয়েছে। এছাড়া এক্সপ্রেসওয়েতে আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ি চলাচলে টোল আদায় শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টার পর টোল আদায় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান। এর আগে চট্টগ্রাম নগরের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নতুন নামফলক উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা। এ সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নামকরণ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভু্যত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণে স্মৃতিচিহ্ন তৈরি করছি। যেন সারাদেশের মানুষ ও আগামী প্রজন্ম তাদের অবদানের কথা জানতে পারে, স্মরণ করতে পারে। চট্টগ্রামের মানুষ সংগ্রামে সামিল হয়েছেন, আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে সবসময় মনে রাখতে পারে তাদের অবদানের কথা এবং সেজন্যই এখানে আসা।
নাম পরিবর্তনের বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, বুধবার গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় নাম পরিবর্তনের এ সিদ্ধান্ত নেয়। বিষয়টি বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নিশ্চিত হয়ে এক্সপ্রেসওয়ের নাম পরিবর্তন করে।
টোলের হার অনুযায়ী, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ৩০ টাকা, কার জাতীয় গাড়িকে দিতে হবে ৮০ টাকা, জিপ ও মাইক্রোবাসের জন্য টোলের হার ১০০ টাকা। পিকআপভ্যান থেকে নেওয়া হবে ১৫০ টাকা। মিনিবাস ও ট্রাক (চার চাকা) থেকে ২০০ টাকা করে, বাস থেকে ২৮০ টাকা নেওয়া হবে। ট্রাকের (৬ চাকা) জন্য ৩০০ টাকা এবং কাভার্ডভ্যানের জন্য ৪৫০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ ধরনের গাড়ি চলাচলের সুযোগ রেখে টোলের হার চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে মোটরসাইকেল এবং ট্রেইলার ওঠা-নামার সুযোগ রাখা হয়নি।
জানা যায়, প্রাথমিকভাবে এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তে চারটি বুথের মাধ্যমে টোল আদায় করা হবে। পরে র?্যাম্প নির্মাণ শেষ হলে আরও কয়েকটি পয়েন্ট যুক্ত করে ১০টি বুথে টোল আদায় চালু করা হবে। বর্তমানে এক্সপ্রেসওয়েতে পরীক্ষামূলকভাবে গাড়ি চলাচল করছে। এ জন্য কোনো টোল দিতে হচ্ছে না। শুরুতে শুধু এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তে চারটি বুথে টোল দেওয়া যাবে। আপাতত সিডিএ টোল আদায় করবে। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে তাদের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর নগরের লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত নির্মিত এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধন করার পর গত আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে গাড়ি চলাচল শুরু হয়। এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হয় চার হাজার ২৯৮ কোটি টাকা।#০৩-০১-২০২৫#