মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রূপগঞ্জের যুবদল নেতা মোশাররফের দখলবাজি

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
রূপগঞ্জের যুবদল নেতা মোশাররফের দখলবাজি
মোশাররফ

নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে। রূপগঞ্জে ইটভাটা ও পেট্রোল পাম্পসহ দশ কোটি টাকার সম্পদ দখলের অভিযোগ উঠেছে। গত ৫ আগস্টের পর তার ব্যবসার অংশীদারের তিনটি ইটভাটা, একটি পেট্রোল পাম্পসহ অন্যান্য সম্পদ দখল করে নিয়েছে তিনি। দখল করে নিয়েছে দশ কোটি টাকা মূল্যের ইট, কয়লাসহ বিভিন্ন সম্পদ। বাড়িঘরে হামলা করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে ষোল বছরের সেই ব্যবসা অংশীদারের। মোশাররফের সঙ্গে এই অপকর্মে জড়িত ছিল গোলজার মোলস্না ও তার বাহিনী।

এসব ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও প্রভাবশালী এই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কাঞ্চন

1

পৌরসভার তারৈল গ্রামের স্থানীয় এবং রূপগঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ের বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, মোশাররফ বিগত সময় ইটভাটার মালিক আলিমুদ্দিনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং তাদের ব্যবসায়িক অংশীদার হন। বিগত সরকারের আমলে টানা ষোল বছর ও তার সন্তানরা তাকে ব্যবসায়ী পার্টনার করে আর্থিকভাবে ব্যাপক সহায়তা পান। কিন্তু ৫ আগস্টের পর হঠাৎ মোশাররফ পল্টি দেন এবং তার বাহিনী নিয়ে আলিমুদ্দিনের পরিবারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাদের তিনটি ইটভাটা, পেট্রোল পাম্প এবং বাড়িঘরসহ সমুদয় সম্পত্তি দখল করে নেয়। আলিমুদ্দিন এবং তার সন্তান পনিরসহ ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন এবং পুলিশ দিয়ে আলিমুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করায়। বিনা অপরাধে আলিমুদ্দিন এখন কারাগারে রয়েছেন। মূলত এভাবেই ৫ আগস্টের পর থেকে মোশাররফ নিজের ব্যবসার অংশীদার ও তার পরিবারের ওপর নির্মম নির্যাতন শুরু করেন। বিষয়টি রূপগঞ্জের প্রভাবশালী বিএনপি নেতা কাজী মনিরুজ্জমান, মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দীপু এবং গোলাম ফারুক খোকনসহ আরও অনেকেই অবগত রয়েছেন।

জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি এখন বিরাট দাপুটে এবং একজন অত্যাচারী বিএনপি নেতা হিসেবে আবির্ভূত হলেও বিগতদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে তার কোনো ভূমিকা ছিল না। বরং তিনি স্থানীয় সাবেক এমপি ও মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে গভীর সখ্যতা গড়ে তুলেছিলেন এবং বিগত ডামি নির্বাচনে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে সহায়তা করেছিলেন। যার ফলে মোশাররফের বিরুদ্ধে তেমন কোনো মামলা-মোকদ্দমাও হয় নাই। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি বিএনপির নামে দখলবাজি ও লুটপাটে মেতে উঠেছেন। এতে কাঞ্চন পৌর এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তার অপকর্মের জন্য এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে ওই এলাকার সাধারণ জনগণ এবং বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে