সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

বইমেলায় অর্ধেক প্রতিষ্ঠানের বিক্রি ২০ কোটি টাকা

যাযাদি ডেস্ক
  ০৫ মার্চ ২০২৫, ০০:০০
বইমেলায় অর্ধেক প্রতিষ্ঠানের বিক্রি ২০ কোটি টাকা
বইমেলায় অর্ধেক প্রতিষ্ঠানের বিক্রি ২০ কোটি টাকা

এবারের অমর একুশে বইমেলায় অংশ নেওয়া অর্ধেক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বিক্রির তথ্য হাতে পেয়েছে মেলা পরিচালনা কমিটি; মেলার মাসজুড়ে এই প্রতিষ্ঠানগুলো বিক্রি করেছে ২০ কোটি টাকার বই। অর্ধেক প্রতিষ্ঠানের এই বিক্রির সঙ্গে বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিক্রি মিলিয়ে আনুমানিক ৪০ কোটি টাকার বই বিক্রির তথ্য মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরেছে মেলা পরিচালনা কমিটি। এর আগে, ২০২৪ সালে মেলায় বিক্রি হয়েছিল ৬০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে বিক্রি হয়েছিল ৪৭ কোটি টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবার বইমেলায় মোট ৭২১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৮টি প্রতিষ্ঠান মিডিয়া ও স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক। বাকি ৭০৩টি প্রকাশনা-প্রতিষ্ঠান, যাদের কাছে অন্যবারের মতো এবারও বই বিক্রির প্রতিবেদন চায় মেলা পরিচালনা কমিটি।

বলা হয় 'এবার যথেষ্ট

তাগাদা দিয়ে এবং সময়ক্ষেপণ করে আমরা মোট ৩৫১টি প্রতিষ্ঠানের বই-বিক্রির হিসাব পেয়েছি। এগুলোর মোট বিক্রির পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি টাকা। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্ভাব্য বিক্রির পরিমাণ যোগ করে আনুমানিক মোট বিক্রি ৪০ কোটি টাকা হতে পারে।'

মেলা পরিচালনা কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'এবারের মেলায় বই বিক্রির পরিমাণ নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি দেখা গেছে। মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব সমাপনী অনুষ্ঠানে ২৭ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত বাংলা একাডেমির নিজস্ব বিক্রির পরিমাণ প্রায় ৬১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৩ টাকা বলে জানিয়েছিলেন। অনেকেই সে সংখ্যাকে মেলার মোট বিক্রির পরিমাণ ধরে নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বা অসচেতনভাবে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। কোনো কোনো জাতীয় দৈনিক ও টেলিভিশন চ্যানেলও দায়িত্বহীনভাবে এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন করেছে।'

বইমেলার শেষ দিন পর্যন্ত বাংলা একাডেমির মোট বিক্রি ৬৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৩ টাকা বলে জানিয়েছে মেলা পরিচালনা কমিটি। যদিও বাংলা একাডেমি ২০২৪ সালে মেলায় ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বই বিক্রি করে। তার আগের বছর করে ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকার।

এবার এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ফেব্রম্নয়ারির প্রথম দিন পর্দা ওঠে একুশে বইমেলার। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের চিত্র ফুটে তোলা হয় মেলায়। বইমেলার 'থিম' ছিল 'জুলাই গণ-অভু্যত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ'।

মেলার অবয়বে ছিল তিনটি রঙের প্রাধান্য- লাল, কালো ও সাদা। আয়োজকদের ভাষ্য, লাল সংগ্রামের প্রতীক; কালো শোকের প্রতীক আর সাদা শান্তির প্রতীক। গত ১ ফেব্রম্নয়ারি মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৭ লেখকের হাতে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

মেলার শুরুতে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭০৮টি প্রতিষ্ঠানকে ১০৮৪ ইউনিটের স্টল বরাদ্দের তথ্য দেওয়া হয়। বাংলা একাডেমিসহ ৩৭টি প্রতিষ্ঠান উভয় প্রান্তে প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ পায়। এক ইউনিটের ৩৮৪টি, দুই ইউনিটের ২১৯টি, তিন ইউনিটের ৬১টি এবং চার ইউনিটের ২৩টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়।

শিশুদের জন্য ৭৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১২০টি ইউনিটের স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। লিটল ম্যাগাজিন চত্বর রাখা হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছে। এই চত্বরে ১৩০টি লিটলম্যাগ স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে