ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে কোনো স্থগিতাদেশ কি বিচারের ওপর প্রভাব ফেলে? আদালতের দেওয়া কোনো স্থগিতাদেশ কি বিচারের গতিকে শ্লথ করে দেয়? বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি এ বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন শীর্ষ আদালত।

আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট 'বার অ্যান্ড বেঞ্চ' অনুসারে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে। বিভিন্ন সময়ে নিম্ন আদালতের নির্দেশে ওপর স্থগিতাদেশ জারি করতে দেখা দিয়েছে উচ্চতর আদালতকে। মামলার অগ্রগতি এবং সেই সংক্রান্ত সমস্ত দিক বিবেচনা করেই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। তবে ফৌজদারি মামলার বিচারের ওপর তার কোনো বিরূপ প্রভাব পড়ে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে চাইছে সুপ্রিম কোর্ট।

বিভিন্ন মামলায় বিচার পেতে দেরি হওয়ার বিষয়টি অতীতে একাধিকবার উঠে এসেছে শীর্ষ আদালতের আলোচনায়। সম্প্রতি আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের আওতায় অভিযুক্ত তামিলনাড়ুর সাবেক মন্ত্রী সেন্থিল বালাজিকে জামিন দেওয়ার সময়েও সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে মন্তব্য করে। ২০১৮ সালের একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিলেন, যে কোনো ফৌজদারি বা দেওয়ানি মামলার বিচারে স্থগিতাদেশ সর্বাধিক ছয় মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে চলতি বছরের ফেব্রম্নয়ারিতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ পূর্বের নির্দেশ খারিজ করে দেয়। ফেব্রম্নয়ারিতে শীর্ষ আদালত জানায়, ছয় মাস পরে নিজে থেকে মামলাগুলোর ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়ে যায় না।

এ বার ফৌজদারি মামলাগুলোর বিচারের ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলে কিনা, তা বিবেচনা করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শীর্ষ আদালত। ঘটনাচক্রে, পশ্চিমবঙ্গের জয়নগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বারুইপুরের ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। শুক্রবার তার ফাঁসির সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে ৮ অক্টোবর। ওই ঘটনার ৬৪ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা করেন নিম্ন আদালত।

আইনের দৃষ্টিতে আত্মরক্ষার অধিকার