শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপের জন্য স্পিনারদের প্রস্তুত করছেন হেরাথ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ৩১ মে ২০২৩, ০০:০০
স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথের কাছে শিখছেন টাইগার বোলাররা -ওয়েবসাইট

আগামী অক্টোবরে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আসন্ন টুর্নামেন্টকে ঘিরে নিজেদের প্রস্তুত করছেন টাইগাররা। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে স্পিনারদের জন্য উইকেটে বিশেষ কোনো সুবিধা থাকে না। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে উপ-মহাদেশের উইকেটে স্পিনাররা যে বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন সেটার দেখা মিলবে না বললেই চলে। আর তাই ভারত বিশ্বকাপের উইকেটগুলো স্পিনারদের জন্য সহায়ক হবে না বলে জানিয়েছেন টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ। তাই তো বিশ্বকাপ মাথায় রেখে বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ যে কোনো ধরনের উইকেটে বোলিংয়ের জন্য তার শিষ্যদের প্রস্তুত করছেন।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে স্পিনারদের নিয়ে দুই দিনের ক্যাম্প শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় বিষয়টি জানান হেরাথ। হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) ও জাতীয় দলের আশপাশে থাকা স্পিনারদের নিয়ে সোমবার শুরু হয় এই ক্যাম্প।

আইসিসি ইভেন্টে সাধারণত উইকেট থাকে ব্যাটারদের অনুকূলে। তাছাড়া এমনিতেও ভারতের উইকেটগুলো থেকে বড় রানের সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই। কন্ডিশন যখন কঠিন, চ্যালেঞ্জটাও তখন বেশি।

স্পিনারদের নিয়ে আরেকটি দুই দিনের বিশেষ ক্যাম্পের গতকাল ছিল শেষ দিন। ক্যাম্প শেষে হেরাথ বলেন, 'আমি সব সময়ই ভাবি, কন্ডিশন যখনই স্পিনারদের জন্য কঠিন হবে, তখন চ্যালেঞ্জ হবে। এ জন্যই বিশ্বকাপের আগে আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। বিশ্বকাপের উইকেটে স্পিনারদের তেমন সহায়তা নেই। আপনি যদি উইকেট থেকে সহায়তা না পান, বৈচিত্র্যের দিকে চেষ্টা করতে হবে, যেটা আমাদের প্রয়োগ করতে হবে।'

এই ক্যাম্পের পাশাপাশি জাতীয় দলের নিয়মিত স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাইজুল ইসলামদের নিয়ে নিয়মিত কাজ করছেন লঙ্কান স্পিনার।

সবশেষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে পরিস্থিতি বিবেচনায় নাজমুল হোসেন শান্তকে দেওয়া হয়েছিল বোলিং। সুযোগ পেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দারুণ বোলিং করেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। নাজমুল হোসেন শান্তর বোলিংয়ের সুফল ভোগ করেছে বাংলাদেশ।

এছাড়া মোসাদ্দেক হোসেনও হাত ঘোরানোতে বেশ পারদর্শী। হেরাথ চান পার্টটাইম বোলার হিসেবে শান্ত-মোসাদ্দেকরাও বোলিং করুক।

হেরাথের ভাষ্য, 'ব্যাটসম্যানরা যদি ৩-৪ ওভার বল করে দিতে পারে, যেটা শান্ত করেছে, তাহলে বোলিংয়ে বাড়তি অপশন পাওয়া যায়। আমি সবসময় চাই হৃদয়-শান্তরা বল করুক।'

কন্ডিশন অনুযায়ী দলের কম্বিনেশন হয়ে থাকে। বিশ্বকাপে তিন পেসারের সঙ্গে দুজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে নামার সম্ভাবনাই বেশি। তবে হেরাথের মনোযোগ কম্বিনেশনে না, তিনি শিষ্যদের তৈরি করে রাখতে চাইছেন। বাকি কাজ সারবেন নির্বাচক কিংবা টিম ম্যানেজম্যান্ট। ব্যাটাররা যারা টুকটাক বোলিং পারেন, একাদশে আদর্শ সমন্বয়ের স্বার্থে তাদের আরও সম্পৃক্ত করার ইচ্ছা হেরাথের, 'এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি ব্যাটাররা কয়েক ওভার বল করে দেন। যেমন শান্ত, এটা বোলিংয়ে অনেক বিকল্প তৈরি করবে। যখন অনেক বিকল্প থাকবে, তখন ঠিক সমন্বয় মিলবে। আমি সব সময় হৃদয়, শান্তদের বোলিংয়ে দেখতে পছন্দ করব।'

দুই দিনের ক্যাম্প শেষে সন্তুষ্ট হেরাথ, 'রিশাদ আছে, আরেকজন আছে নাম নাঈম সাকিব। বিপস্নবও আছে। আমাদের এখন এসব সম্পদ আছে। তাদের থেকে সেরাটা বের করতে চাই। সুযোগ পেলে আত্মবিশ্বাস ও অভিজ্ঞতা দুই-ই অর্জন করবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে