লোহাগড়ার উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের
শামুকখোলা গ্রামে যুবদল কর্মী বালু ব্যবসায়ী সালমান খন্দকার হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহতের ছোট ভাই নাহিদ খন্দকার বাদি হয়ে রোববার (১১ মে) সকালে লোহাগড়া থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের নামে হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনায় শামুকখোলা গ্রামের মান্নান মোল্যার ছেলে মশিয়ার মোল্যাকে রোববার ভোরে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।এদিকে হত্যার ঘটনায় আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে লোহাগড়ায় বিএনপি ও যুবদল বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করেছে।
জানা গেছে, নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের শামুকখোলা গ্রামের খাজা খন্দকারের ছেলে ইউনিয়ন যুবদল কর্মী সালমান খন্দকার (২৬) বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে স্থানীয় বন্ধুদের নিয়ে পাশের রামকান্তপুর মধুমতি নদীর পাড়ে পিকনিক করতে যান।
এর মধ্যে রাত ১১টার দিকে সালমান বাড়িতে ফিরলেও আবার মোটর সাইকেল নিয়ে বের হন।
পরদিন শুক্রবার সকালে কাউলিডাঙ্গা বিল থেকে পুলিশ তার ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে।এ বিষয়ে জানতে নিহতের ছোট ভাই মামলার বাদি নাহিদ খন্দকারের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
পরে নিহতের ভাইপো শামুকখোলা গ্রামের সৈয়দ এ.কে মাসুদ রানার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সালমান ঘটনার দিন বন্ধুদের সঙ্গে রামকান্তপুর মধুমতী নদীর পাড়ে পিকনিক করতে গেলেও না খেয়ে বাড়িতে চলে আসেন।
এর পর আবার একা মোটর সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। আসামিরা সবাই একই গ্রামের।
তিনি মামলার এজাহারনামীয় আসামিদের অবিলম্বে আটকের দাবি জানানএ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি মো.আশিকুর রহমান বলেন, সালমান হত্যার ঘটনায় এজাহারভূক্ত ২০ জন এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
তবে আসমিদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে এই মূহুর্তে কারো নাম জানানো সম্ভব হচ্ছে না।
এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞসাবাদ করা হচ্ছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।যাযাদি/এল