নিজেদের শক্তি-সামর্থ্যে টি২০ ফরম্যাটে এখনো বেশ পিছিয়ে বাংলাদেশ। এই ফরম্যাটে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের মূলপর্বে জয়ের স্বাদ পেতে প্রায় দেড় দশক অপেক্ষা করতে হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। যদিও গেল বছরে হোম ভেনু্যতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে কাটিয়েছে টাইগাররা। তবে নতুন বছরের শুরুতেই বাংলাদেশকে টি২০ বিশ্বকাপের পরীক্ষা দিতে হবে।
আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য টি২০ বিশ্বকাপে 'গ্রম্নপ অব ডেথ'-এ পড়েছে বাংলাদেশ। 'ডি' গ্রম্নপে টাইগারদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল।
এই গ্রম্নপে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দুই দল দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলংকার পাশাপাশি গ্রম্নপ পর্বে সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডস বাধাও কাটাতে হবে টাইগারদের। তাই সেরা আটে ওঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশকে বড় চ্যালেঞ্জই মোকাবিলা করতে হবে। তবে এসব নিয়ে মোটেই ভীত নন দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবির কর্তারা।
নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলছেন, 'না আসলে কঠিন গ্রম্নপ নিয়ে চিন্তিত নই আমরা। কারণ, এটা তো আমাদের হাতে নেই। আমাদের লক্ষ্য থাকবে ভালো ক্রিকেট খেলা, আমরা সেদিকেই ফোকাস রাখছি।'
প্রথমবারের মতো ২০টি দল অংশ নেবে বৈশ্বিক এই আসরে। প্রতি গ্রম্নপে পাঁচটি করে দল রেখে চারটি গ্রম্নপে করা হয়েছে। প্রতি গ্রম্নপ থেকে শীর্ষ দুই দল সুপার এইট পর্বে খেলবে। সেখানে আটটি দল দুটি গ্রম্নপে ভাগ হয়ে খেলবে।
এদিকে গ্রম্নপ পর্বেই মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। গ্রম্নপ 'এ'-তে আয়ারল্যান্ড, স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে রয়েছে তারা।
গ্রম্নপ 'বি'তে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের সঙ্গে আছে অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান। স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্রম্নপ 'সি'তে থাকছে নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনি।
'এ' গ্রম্নপের সব খেলা যুক্তরাষ্ট্রে, 'বি' ও 'সি' গ্রম্নপের সব খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজে। আর 'ডি' গ্রম্নপের খেলাগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে মিলিয়ে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটের প্রসার এবং সেখানে বসবাসকারী এশিয়ানদের বিষয়টি বিবেচনা করে এশিয়ার সাত দলের পাঁচটিরই ম্যাচ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে সেখানে আফগানিস্তানের কোনো ম্যাচ থাকবে না। কারণ রাজনৈতিক ও ভিসা জটিলতায় পড়তে পারে আফগানরা।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ জুন শুরু হবে টি২০ বিশ্বকাপ। ২৯ জুন ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে বিশ্বকাপের।